রাজ্য

অবাক কাণ্ড ! হঠাৎ উধাও আস্ত স্কুল ভবন, চাঞ্চল্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী মহলে

লকডাউনের আগেও পঠন-পাঠন চলত ওই স্কুলেই। তবে আচমকাই উধাও হয়ে যায় স্কুল ভবন। ঘটনার পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

 

Bengal Live মালদাঃ এ যেন এক অবাক কাণ্ড ! একটি সরকারি স্কুল ভবন দিনের আলোয় উধাও। শিক্ষক রয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীও রয়েছে। কিন্তু হঠাৎই বেপাত্তা গোটা স্কুল ভবনটি । গোটা ভবনটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তার সন্ধান এখনও মেলেনি। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

৭০-এর দশকে তৈরি করা হয়েছিল ছাত্রবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতদিন এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ঠিকঠাক ভাবে চললেও কয়েকদিন আগে হঠাৎই স্কুল ভবনটিকে ভেঙে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, হয়তো পুরনো ভবনটিকে ভেঙ্গে নতুন করে আবার তৈরি করা হবে। কিন্তু সেরকমটা না হওয়ায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানান। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তদন্ত করে দেখার পর ইংরেজ বাজার থানায় গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ জানান জেলা সদরের এসডিও নিজেও।

ঘটনার পরে পুলিশের তরফে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের একটি মামলা রুজু করা হয়। যদিও এই ঘটনার সাথে কারা যুক্ত রয়েছে তা এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারেননি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলে স্থানীয় বাচ্চারা পড়াশোনা করত। কিন্তু হঠাৎ করেই এই স্কুলের ভবন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে এর পেছনে কারা রয়েছে এবং কেন ভবনটি ভাঙা হল তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ।

ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুনীতি সাঁপুইকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এদিকে শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি জানতে পেরেছেন এখানে একটি বিদ্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তা নিয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনিও।

এই বিষয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দুলাল সরকার জানান, ওখানে একটা পুরানো স্কুল ছিল। সাপখোপের বাস হয়েছিল। শুনলাম, ওই স্কুল ভবনটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাশে একটা স্কুল ভবন করে দিয়েছে। এটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল৷ ওখানে যদি কোনও আবাসন তৈরি করা হয়, সেই বিষয়েও পুরসভাকে সক্রিয়তার সাথে দেখতে বলা হয়েছে। একটি এফআইআর হয়েছে। তার কপিও আমাদের পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন দেখছে বিষয়টি।

Related News

Back to top button