রাজ্য

GI তকমার দৌড়ে বাংলার সরভাজা, সরপুরিয়া

জিআই তকমা পেতে পারে সরভাজা, সরপুরিয়া।পুজোর আগেই মিষ্টি প্রেমীদের জন্য আসতে চলেছে সুখবর! অপেক্ষায় দিন গুনছে গোটা কৃষ্ণনগর।

 

Bengal Live ডেস্কঃ  বাংলা ও বাঙালির তেরো পার্বনে জড়িয়ে থাকা জনপ্রিয় মিষ্টিগুলির মধ্যে রসগোল্লা পেয়েছিল জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশনের তকমা। এবার জিআই তকমা পাওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছে কৃষ্ণনগরের সরভাজা ও নদিয়ার সরপুরিয়া। সূত্রের খবর, এবার বাংলার এই দুই মিষ্টিও পেতে চলেছে জিআই তকমা । প্রসঙ্গত, রসগোল্লার GI তকমা পাওয়া নিয়ে বেশ টক্কর চলেছিল প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার সঙ্গে।মূলত রসগোল্লা কার এনিয়েই যাবতীয় বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ওড়িশা দাবি করেছিল রসগোল্লা আদপে তাদের রাজ্যেরই মিষ্টই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিআই রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে রায় দেয়।এরপর বাংলার মিষ্টি হিসাবে জিআই তকমা পায় রসগোল্লা। পাশাপাশি জিআই তকমা পেয়েছে বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা ও জয়নগরের মোয়া ।

কৃষ্ণনগরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগেই কৃষ্ণনগরের সরভাজা এবং সরপুরিয়ার জিআই তকমা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তারা। সেই উপলক্ষ্যে কেন সরপুরিয়া ও সরভাজা বাংলারই আদি, অকৃত্রিম, অনন্য মিষ্টি সে বিষয়ে বেশ কিছু নথি জমা দেওয়া হয়েছিল জিআই কর্তৃপক্ষের কাছে । এবার শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে তকমা পাওয়ার অপেক্ষা। আশা করা হচ্ছে পুজোর আগেই আসতে পারে এই সুখবর ।

দীর্ঘদিন বন্ধ পঠনপাঠন , স্কুল বাড়ি ঢেকেছে ঝোপ জঙ্গলে

সরভাজা, সরপুরিয়ার উৎপত্তি নিয়েও মতানৈক্য রয়েছে এখানকার মিষ্টি বিক্রেতাদের মধ্যে। কেউ বলেন, এই মিষ্টির জন্ম অন্তত ৫০০ বছর আগে, তো কারও মতে শ’দেড়েক বছর আগে অধরা দাস নামের এক মিষ্টি বিক্রেতা প্রথম তৈরি করেন সরভাজা, সরপুরিয়া। তবে এই মিষ্টি যে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যের সঙ্গে, তাতে কোনও পক্ষেরই কোনও সন্দেহ নেই। তাই এখন সরভাজা, সরপুরিয়ার GI তকমা পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে গোটা কৃষ্ণনগর।

ফের ঘূর্ণাবর্ত, উত্তর থেকে দক্ষিণে বৃষ্টির পূর্বাভাস

Back to top button