পায়ে এই জুতোজোড়া থাকলে মই ছাড়াই তরতরিয়ে ওঠা যাবে উঁচু কোনও পোলে
কঠিন কাজকে সহজ করার তাগিদ থেকেই লিভারের আবিষ্কার। সেই তাগিদ থেকে এবার উঁচু পোলে ওঠার জন্য লিভার সু বানিয়ে ফেললেন চোপড়ার অতি সাধারণ এক ঠিকা কর্মী আখতার আলি।
Bengal Live চোপড়াঃ হবু রাজার মতো তাঁকে কেউ হুকুম দেননি। তবু নিজের তাগিদে এক অভিনব জুতা আবিষ্কার করে ফেললেন চোপড়ার আখতার আলি। তবে এ জুতো রাজার পায়ে ধুলি নিবারণের জন্য নয়। এমনকি তা পায়ে গলিয়ে হাঁটার জন্যও নয়। প্রস্তুতকারক আখতার জানাচ্ছেন, এই জুতো তৈরি করা হয়েছে পোল ক্লাইম্বিংয়ের জন্য। অর্থাৎ এর কাজ খানিকটা যান্ত্রিক লিভারের মতো।
এখন থেকে বিদ্যুতের খুঁটিতে ওঠার জন্য আর প্রয়োজন নেই লম্বা মইয়ের। মই ছাড়াই তরতর করে উঠে পড়া যাবে উঁচু উঁচু বিদ্যুতের খুঁটিতে। লিভার জুতোর সাহায্যে কীভাবে এই কাজ সহজেই সম্পন্ন হচ্ছে তা দেখতে হলে যেতে হবে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের দাসপাড়ায় আখতার আলির কাছে। ইতিমধ্যেই এই ধরণের পোল ক্লাইম্বিং লিভার জুতো বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারলেই তার সন্ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াবাসীর কাছে আখতার আলির এই পোল ক্লাইম্বিং লিভার সু যেন এক আশ্চর্য জুতা আবিষ্কার। ইতিমধ্যেই তা স্থানীয় মানুষের কাছে রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। গ্রামগঞ্জে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সামাল দিতে ইলেক্ট্রিক পোলে উঠতে হলেই ডাক পড়ছে আখতারের।
প্রতিভার জোরেই অভিনব এক আবিষ্কার করে ফেললেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবকর্মী
আখতার আলি জানান, ইলেকট্রিক মিস্ত্রীদের সাথে গ্রামেগঞ্জে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই মিস্ত্রীদের লম্বা লম্বা মই ঘাড়ে নিয়ে ছুটতে হয়। নীচে একজন মই ধরে রাখেন, অপরজন মই বেয়ে উপরে ওঠেন। মই নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর ঝক্কিঝামেলা দূর করার তাগিদ থেকেই লোহার এই পোল ক্লাইম্বিং জুতো বানিয়ে ফেললাম। এই জুতো পায়ে লাগিয়ে সহজেই খুঁটিতে ওঠা সম্ভব। গ্রামগঞ্জে কাজের জন্য ডাক পড়লে এখন আর ঘাড়ে মই নিয়ে ছুটতে হবে না। সামান্য ভারী লোহার তৈরি এই ক্লাইম্বিং জুতোজোড়া সঙ্গে থাকলেই তরতরিয়ে উঠে যাওয়া যাবে উঁচু বিদ্যুতের খুঁটিতে। অনলাইনে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে এই ধরণের জুতা। যার দাম ১২০০ থেকে ১৩০০টাকার মতো। কিন্তু আখতার জানাচ্ছেন, একইভাবে কার্যকর তাঁর তৈরি এই জুতোর দাম পড়ছে মাত্র ৫০০-৬০০ টাকা।