পূজার ছুটিতে পর্যটকরা আসবেন তো! আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ীদের

পূজার বাকি মাত্র আর ক’দিন৷ তবে এখনও শুরুই হয়নি পূজার বুকিং। কার্যত ফাঁকা আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।
Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ প্রায় দুই মাস বাদে পুজো কিন্তু বুকিং শূন্য আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলো। আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতা, জলদাপাড়া, জয়ন্তী,রাজাভাতখাওয়া প্রায় সব পর্যটন কেন্দ্রে পুজোর বুকিং শূন্য। কোথাও নেই পুজোর বুকিং মাথায় হাত পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, যে প্রতিবছর এই সময়ে কালী পুজো অবধি পুজোর বুকিং হয়ে যায়, কিন্ত এবছর কোনও বুকিং নেই। এমনকি গত বছর করোনা আবহেও পুজোর বুকিং হয়েছিল যথেষ্ঠ। এমন সময়ে অধিকাংশ হোটেল রিসোর্টই প্রায় হাউজফুল হয়ে গেছিল। কিন্তু সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চলতি বছরে একদম তার বিপরীত চিত্র। ফলে আশঙ্কার মেঘ জমছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
ফের ঘূর্ণাবর্ত, উত্তর থেকে দক্ষিণে বৃষ্টির পূর্বাভাস
আলিপুরদুয়ারের পর্যটন ব্যবসায়ী অভিক গুপ্ত জানান, পর্যটকদের কাছে একটা ভূল বার্তা চলে গেছে যে এখানে এলে হয়ত করোনা নিয়ে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। এজন্য অনেকেই হয়ত ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন৷ আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, মানুষের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।
করোনা তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে একাধিক জেলা প্রশাসন করোনাবিধি লাগু করেছিল। ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট অথবা আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল পর্যটকদের জন্য। পরে নবান্নের নির্দেশে এই বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়৷ ডবল ডোজ ভ্যাকসিন, আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্টের পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্টকেও বৈধতা দেওয়া হয়। এই তিনটির মধ্যে যে কোনও একটি থাকলেই রাজ্যের যে কোনও পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার ছাড়পত্র পাবেন পর্যটকরা বলে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হয়৷