রাজ্য

কানকির আন্দোলনে অশান্তি ছড়ানোর দায় কার? তরজায় বাম-বিজেপি-তৃণমূল

কানকির ঘটনায় সরকারি বাস ভস্মীভূত। ভাঙচুর অন্তত হাফ ডজন গাড়ি। ভাঙলো এম্বুলেন্সও। এর দায় কার? তরজায় জড়িয়েছেন নেতারা।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ আন্দোলনে অশান্তি ছড়ানোর দায় কার? সোমবার কানকির ঘটনার পর এই প্রশ্নকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই তরজায় নেমে বাম ও বিজেপি নিশানা করেছে তৃণমূলকেই। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, আরএসএসের মদতেই বিজেপির লোকেরাই এই অশান্তি ঘটিয়েছে। এর পেছনে এলাকার এক বাম বিধায়কের হাতও রয়েছে বলে দাবি রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর।

বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, শান্তি মিছিলের নামে তৃণমূল অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে। মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়ে অশান্তি তৈরি করেছে। মন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ লাহিড়ী।

রাজ্য শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী বলেন, পথ সভায় বক্তব্য রেখে আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর আরএসএস, বিজেপি ও স্থানীয় বাম বিধায়ক আলি ইমরান রমজের লোকেরা মিছিলে ঢুকে সরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রমজ ছিলেন ওইখানে। অপরদিকে কিছু আরএসএস ও কংগ্রেসের লোকেদের দেখা গিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল সভা করার পর এই ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে স্থানীয় বিধায়ক তথা ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা আলি ইমরান রমজ বলেন, পুলিশ যেকোনও ভিডিও দেখিয়ে প্রমান করুক আমি ওখানে ছিলাম। যদি প্রমাণ করতে পারে, আমি অপরাধ মেনে নেবো। কিন্তু অভিযোগ অসত্য বলে প্রমাণিত হলে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। আমার সম্মান হানি করার চেষ্টা করছেন উনি। আমি ছাড়বো না। আলি ইমরান রমজ আরও বলেন, কয়েকশ মানুষকে যে সামলাতে পারে না তাঁর নিজেকে নেতা হিসেবে দাবি না করাই উচিৎ। অযোগ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিৎ।

Related News

Back to top button