অনুমোদন ছাড়াই চলছে কর্ণজোড়া ওপিডি, প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ দিচ্ছে গ্রুপ ডি কর্মী

NBlive রায়গঞ্জঃ জেলা ভাগের পর থেকে প্রায় দুই দশক ধরে কোনও রকম সরকারি অনুমোদন ছাড়াই চলছে কর্ণজোড়া গ্রামীণ ওপিডি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। রোজ প্রায় তিনশ রোগী এই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য আসলেও একজন চিকিৎসক, দুই জন গ্রুপ ডি কর্মী ও একজন সাফাইকর্মীকে নিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

ওই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশেই এই ওপিডিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও নার্স নেই। একজন চিকিৎসক, দুইজন গ্রুপ ডি ও একজন সাফাইকর্মীকে নিয়েই কাজ চলছে এই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

তবে সরকারি অনুমোদন না থাকলেও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ পত্র সহ অন্যান্য সরঞ্জাম সবই আসছে রায়গঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। এদিকে অনুমোদন না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানান, এলাকার মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা জারি রাখার জন্যই এই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।

উত্তর দিনাজপুর জেলার সরকারি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতাল সহ যে কয়টি চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান কেন্দ্র রয়েছে সেই সরকারি তালিকায় নাম নেই কর্ণজোড়া ওপিডির। সম্পূর্ণরূপে অনুমোদন ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে চলছে সরকারি এই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

তবে অনুমোদন না থাকার পরেও এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে এসে কোনও রোগীর অঘটন অথবা দুর্ঘটনা হলে তার দায়ভার নেবে স্বাস্থ্য দফতরই। এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, রোগীদের দায়ভার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরেরই।

জানা গেছে, জেলা ভাগ হওয়ার আগ পর্যন্ত কর্ণজোড়া জেলা প্রশাসনিক কার্যালয় চত্বরে অবস্থিত এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিই ছিল রায়গঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এরপর ১৯৯২ সালে জেলা ভাগের পর রায়গঞ্জ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মহারাজ এলাকায়। এরপর থেকেই এই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ওপিডি হিসেবে অনুমোদন ছাড়াই চালানো হচ্ছে।

Exit mobile version