বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে নাগর নদী। রায়গঞ্জ ব্লকের একাধিক গ্রাম ইতিমধ্যেই জলমগ্ন। চরম দুর্ভোগে বাসিন্দারা৷
তিন মাস ধরে জলবন্দী রায়গঞ্জের কোটগ্রাম, চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসীরা
Bengal Live রায়গঞ্জঃ ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। নাগর নদীর জলে ইতিমধ্যেই প্লাবিত রায়গঞ্জ ব্লকের একাধিক গ্রাম। কয়েকহাজার মানুষ জলবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বেশ কিছু এলাকায় নৌকা নামিয়ে বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এরই মাঝে এবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইতে শুরু করল নাগর নদীর জল। মঙ্গলবার সকাল থেকে নাগর ব্রীজ সংলগ্ন নতুন হাট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করেছে। বিভিন্ন যানবাহন চালকদের আশঙ্কা, যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন তাঁরা।
আদা-রসুন-হলুদঃ করোনা কেন, হরেক রোগেরই যম, শুধু ব্যবহার জানতে হয়
একটানা প্রবল বর্ষণের জেরে নাগর নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় একমাত্র নাগর নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় নাগর নদী সংলগ্ন জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাড়িসরিয়াবাদ, মোহনা, জগদীশপুর, পাঁঁচভায়া এবং বটতলা গ্রাম জলমগ্ন। এদিকে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারজোল, কামারপাড়া, বালিরপাড়, বাহিন, মাকড়া, মাধবপুর, বিষ্ণপুর, ভুলকাই, কুমরোল, টেগরা, লোহজগ্রাম, ছিটরাজপুর গ্রামে জলবন্দী বহু মানুষ। গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের অনন্তপুর, ভিটিহার, ধূপদূয়ার, নিমতলা, পাড়ারপুকুর, রহমতপুর গোয়ালদহ গ্রাম এবং শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের মহিগ্রাম, শিয়ালতোর, শুকুটোলা, তিওড়ডাঙ্গি গ্রাম জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে।
ফের বন্যা পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরে, জলমগ্ন বহু এলাকা, পরিদর্শনে জেলাশাসক
জলবন্দী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গতকাল থেকে জল বাড়লেও প্রশাসনের কোনও কর্তার দেখা মেলেনি। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ জানিয়েছেন, রায়গঞ্জ ব্লকে জলবন্দী মানুষদের উদ্ধারে নৌকা নামানো হয়েছে।গতকাল উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত থাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এদিন সকাল থেকে জলবন্দী মানুষদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে।