বাজার থেকে উধাও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শহরের গুটিকয়েক পড়ুয়া তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করছেন স্যানিটাইজার।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ বাজারে মিলছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নোভেল করোনা ভাইরাস সতর্কতায় আচমকা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজার থেকে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছে স্যানিটাইজার৷ কোনও কোনও দোকানে মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দেশ জুড়েই সৃষ্টি হয়েছে এই পরিস্থিতি। কালোবাজারি রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় পুলিশ ও ইডি যৌথ অভিযান শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ও সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্দ্যেশ্য নিয়ে রায়গঞ্জের গুটি কয়েক পড়ুয়া ও তাঁদের শিক্ষকরা মিলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্যানিটাইজার বানানোর কাজ শুরু করেছেন।
বুধবার সকাল থেকে শহরের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক মিলে এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন। স্যানিটাইজার তৈরির উপকরণ বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজন মতন প্রায় দুই লিটার স্যানিটাইজার বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, অ্যালোভেরা জেল আর এসেনসিয়াল ওয়েল দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই স্যানিটাইজার তাঁরা প্রস্তুত করেছেন। ২/৩ কাপ আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে ১/৩ কাপ অ্যালোভেরা জেল ও ২ চা চামচ এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে এই স্যানিটাইজার। প্রতি ১০০ এম.এল স্যানিটাইজার প্রস্তুত করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫-৪০ টাকা।
কর্মযজ্ঞে সামিল পড়ুয়াদের মধ্যে ফারহান, অর্ণব, সৌমিক, সুদীপ্তরা বলেন, গত সপ্তাহ জুড়ে স্যানিটাইজারের বাজার থেকে উধাও হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম স্যানিটাইজার তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতি সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছে৷ সেখান থেকেই জেনেছি৷ এছাড়াও শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্ণধার তথা শিক্ষক শান্তনু মিশ্র বলেন, করোনা সংক্রান্ত উদ্বেগ ক্রমশ জটিল হচ্ছে৷ ফলত মান্য কিছু স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে অভ্যস্ত হওয়ার গুরুত্ব টের পাচ্ছি আমরা সবাই। টের পাচ্ছি বলেই হয়তো বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ক্রাইসিস দেখা দিয়েছে। সঙ্গ দিয়েছে চোরাবাজারিও। অ্যাভেলেবিলিটি এবং দাম এই দুইয়েরই করুণ পরিস্থিতিতে আমরা ছাত্র-শিক্ষক মিলেমিশে নিজেদের নিরাপত্তার তাগিদে তৈরি করেছি হ্যান্ড স্যানিটাইজার।