এই প্রথম রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এত বড় সাফল্যের নজির। এর আগে কখনও এই হাসপাতালে এত জটিল অপারেশন হয়নি বলে মত চিকিৎসকের।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ কাজটা সহজ ছিল না। তাও আবার রায়গঞ্জের মতো একটি ছোট্ট শহরে। কিন্তু এই ছোট্ট শহরেই প্রায় অসাধ্য সাধন করে দেখালেন চিকিৎসকরা। করোনা পরিস্থিতির মাঝেই জটিল অস্ত্রোপচার করে বড়সড় সাফল্য পেল রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল৷ এক মহিলার জরায়ু থেকে আট কেজি ওজনের দুটি টিউমার কেটে বাদ দিলেন প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পর ওই রোগী এখন ভাল রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। মেডিক্যাল কলেজ চালু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে এমন সাফল্যে খুশি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল দিলীপ কুমার পাল। অস্ত্রোপচারের সাথে যুক্ত চিকিৎসক ও নার্সিং কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
রায়গঞ্জ শহরের শক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা জ্যোৎস্না মহন্ত ( ৪৯) মাসখানেক ধরে পেটের যন্ত্রনায় ভুগছিলেন। বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে শুরু করে অন্যত্র চিকিৎসা করিয়ে কোনও সুরাহা পাননি তিনি। এরপর রোগীকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর পরিজনেরা। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কোভিড পরিস্থিতির কারণে ওই মহিলার প্রথমে করোনা টেস্ট করা হয়। টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকরা জোৎস্না দেবীর চিকিৎসা শুরু করেন। দেখা যায় ওই মহিলার জরায়ুতে দুটি বিশালাকারের টিউমার রয়েছে।
এরপর এদিন সকালে প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকদের যৌথ প্রয়াসে জ্যোৎস্না মহন্তের জরায়ু থেকে দুটি ৮ কেজি ওজনের টিউমার অপারেশন করে বাদ দেওয়া হয়। সফল হয় অপারেশন। হাসপাতালের ঐকান্তিক প্রয়াসে খুশী রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল দিলীপ কুমার পাল জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছি। জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর হওয়ার মাত্র দুই বছর হয়েছে। এরই মধ্যে এতবড় একটি ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এটা রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইতিহাসে প্রথম সাফল্য।