ডিআইকে হুমকি, সাসপেণ্ড জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান
Bengal Live রায়গঞ্জঃ সাসপেন্ড জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান। শুক্রবার রায়গঞ্জ গার্লস প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহানকে সাসপেন্ড করার নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
বৃহস্পতিবার দিনই জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শককে হুমকি দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগে শোকজ করা হয় গৌরাঙ্গ চৌহানকে। জানা গেছে, শুক্রবার শোকজের উত্তর দেন গৌরাঙ্গ চৌহান। সেই উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় এবং তাঁর শোকজের জবাব শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি হিসেবে দিয়ে সার্ভিস রুল ভঙ্গ করায় এদিনই গৌরাঙ্গ বাবুকে সাসপেন্ড করার নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
এই বিষয়ে শিক্ষক নেতা তথা গার্লস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ চৌহানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শোকজ ও সাসপেন্ড নিয়ম বহির্ভূত ভাবে করা হয়েছে। যেইসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার কোনও প্রমাণ নেই। দুই শিক্ষককে বাড়ির কাছে বদলি করাত আর্জি নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি করতে পারেন নি। কিন্তু আমরা কোনও রকম বাজে ব্যবহার তাঁর সাথে করা হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন গৌরাঙ্গ চৌহান।
এদিকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত মাইতির সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
জানা গেছে, দুই প্রাথমিক শিক্ষককে শহরের দুটি স্কুলে বদলি করার দাবী নিয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে গিয়েছিলেন গৌরাঙ্গ চৌহান।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক-এর জারি করা শোকজ লেটারে গৌরাঙ্গ চৌহানের বিরুদ্ধে সরাসরি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। দপ্তরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে ওই দুই শিক্ষককে বদলি না করা হলে এই দুটি বদলি ছাড়া সমস্ত বদলি টাকার বিনিময়ে করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ তোলা হবে বলে গৌরাঙ্গ চৌহান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শককে হুমকি দেন বলে শোকজ লেটারে উল্লেখ করেছেন ডি আই (প্রাথমিক)।
শোকজ লেটারে আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে, দপ্তরের বাইরেও ওই আধিকারিককে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও দুর্ব্যবহার করেছে গৌরাঙ্গ চৌহান। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক-এর বিরুদ্ধে আদালতে কেস করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। নেতাকে। এরপরেই শৃঙ্খলাভঙ্গ, সরকারি কাজে বাঁধা, সরকারি আধিকারিককে হুমকি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ কেন দায়ের করা হবে না, তা জানতে চেয়ে শোকজ করা হয় ওই শিক্ষক নেতাকে। এরপরেই এদিন তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশিকা জারি করা হয় দপ্তরের পক্ষ থেকে।
