সংস্কার শুরু বক্সা ফোর্টের, কাজের গতি খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক

ভুটান সীমান্ত লাগোয়া বক্সা পাহাড়ের ভিউ পয়েন্ট পর্যন্ত বর্তমানে গাড়ি যেতে পারে। তারপর পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। সদর বাজার, তাসিগাও, বক্সা ফোর্ট ও পাহাড় চূড়ায় লেপচাখা পাহাড়ি গ্রামে পায়ে হেঁটেই পৌঁছতে হয় সকলকে।

 

Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ উত্তরের পর্যটনের অন্যতম ঠিকানা বক্সা ফোর্ট। সেই ফোর্টেরই এবার শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজ। শনিবার সেই কাজের গতি খতিয়ে দেখতে পায়ে হেঁটে পাহাড়ে উঠলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক। বক্সা ফোর্টের সংস্কার কাজের গতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৬০০ ফুট উঁচু পাহাড়ে অবস্থিত পাঁচটি প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের সাথেও কথা বললেন তিনি। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেই বিষয়েও বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন জেলা শাসক।

কিছুটা গাড়ি, তারপর হাঁটা পথ। বক্সা ফোর্ট সহ ওই এলাকার পাহাড়ি গ্রামগুলিতে পৌঁছতে পাহাড়ি পথে পায়ে হেঁটে ওঠা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। ফলে গাড়ি রেখে প্রায় আট কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পেরিয়ে শনিবার সকালে বক্সা ফোর্টে পৌঁছান আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। জেলা শাসকের সাথে এদিন জেলা বিদ্যুৎ ও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কর্তারা পাহাড় বেয়ে এই পরিদর্শনে সামিল হয়েছিলেন।

জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা বলেন, ” প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যায়ে ঐতিহাসিক বক্সা ফোর্টের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন সেই কাজের গতি প্রকৃতি দেখতে ফোর্ট পরিদর্শন করেছি। এছাড়া পাহাড়ি গ্রামে মানুষের সুবিধে অসুবিধের খোঁজ নিয়েছি। পাহাড়ি গ্রাম গুলোর উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, ভুটান সীমান্ত লাগোয়া বক্সা পাহাড়ের ভিউ পয়েন্ট পর্যন্ত বর্তমানে গাড়ি যেতে পারে। তারপর পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। সদর বাজার, তাসিগাও, বক্সা ফোর্ট ও পাহাড় চূড়ায় লেপচাখা পাহাড়ি গ্রামে পায়ে হেঁটেই পৌঁছতে হয় সকলকে।

Exit mobile version