বিয়ের চার বছরের মাথায় রান্নাঘরে বধূর ঝুলন্ত দেহ, তদন্তে পুলিশ

বিবাহের চার বছরের মাথাতেই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। কীভাবে মৃত্যু? আসল কারণ জানতে তদন্তে পুলিশ।

 

Bengal Live জলপাইগুড়িঃ বিয়ের চার বছরের মধ্যেই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। খুনের অভিযোগ মৃতার বাপের বাড়ির। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো ধূপগুড়ি পূর্ব মাগুরমারি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন ধূপগুড়ি পুলিশ আধিকারিকরা। ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানা গেছে, ধূপগুড়ি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর দাসের সাথে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয় শুক্লা দাস কর্মকার (৩০) এর। ধূপগুড়ির আংরাভাসা গ্রামে শুক্লার বাপের বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে শঙ্কর দাস রান্না ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর স্ত্রীকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।

মৃতার দেওর অনন্ত দাস জানান, গতকাল দুপুরে শাশুড়ি তাঁর নাতির জন্যে টুপি এবং সোয়েটার কিনে নিয়ে আসে। কিন্তু সেই পোশাক শুক্লার পছন্দ হয়নি। ছেলেকে মারধর করে শুক্লা। এই নিয়েই শাশুড়ি এবং বৌমার মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি হয়। বেশি কিছুই হয়নি বলে মৃতের শ্বশুরবাড়ির দাবি। এই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালবেলা রান্না ঘরে শুক্লা দেবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

বিবাহের চার বছরের মধ্যে যেহেতু মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, স্বাভাবিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃতার মামীর অভিযোগ, শুক্লাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। মৃত্যু শুক্লা দাস কর্মকারের বাপের বাড়ি তরফ থেকে ধূপগুড়ি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Exit mobile version