
NBlive রায়গঞ্জঃ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এবছর রাজ্যে ছেলে পরীক্ষার্থীর তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৪০ হাজার বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১লক্ষ ২ হাজার ৯৮ জন। যার মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৪ লক্ষ ৮১হাজার ৩৯৫ জন ও মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ২০ হাজার ৭০৩ জন।
উত্তরবঙ্গে এবছর ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার বেশি। কন্যাশ্রী সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প গ্রহণ করার ফলেই রাজ্য জুড়ে ছাত্রদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, এমনটাই মনে করছে রাজ্যের শিক্ষা মহল।
উত্তরবঙ্গে এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯২৪জন। এর মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ৩১০ জন। বিগত বছর ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার ৯৩৬ জন। এদিকে চলতি বছরে মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১লক্ষ ৩৮ হাজার ৬১৪ জন। বিগত বছরে এই সংখ্যা ছিল ১লক্ষ ৩৪ হাজার ৫১২।
সমগ্র উত্তরবঙ্গে এবছর মোট পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ৬৭৫টি। যার মধ্যে ১১৮ টি পরীক্ষা কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। উত্তর দিনাজপুরে ২২টি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। মালদা জেলায় এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২টি। এদিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে মালদা। ৪৮ হাজার ৪৬৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে এই জেলায়। যার মধ্যে ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ৬২৭ জন। মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৪০ জন।
দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জিটিএ অধীন এলাকায় পরীক্ষার্থী রয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় রয়েছে ১৬ হাজার ৫৩৪ জন পরীক্ষার্থী। জলপাইগুড়ি জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪ হাজার৩৮৫জন। আলিপুরদুয়ার জেলায় রয়েছে ২২ হাজার ১৮২ জন পরীক্ষার্থী। কোচবিহার জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৩৩১ জন। উত্তর দিনাজপুরে রয়েছে ৩৮ হাজার ৫৯৩ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৪৫৩জন।
এদিকে নকল, প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এবছর যথেষ্ট কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে চিপ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। যারফলে নির্ধারিত সময়ের আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুললেই খবর চলে যাবে পর্ষদের সার্ভারে। রাজ্যের ২৮১৯ টি কেন্দ্রের কোথায়, কে বা কারা কখন প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলছে সেই খবরও পৌঁছে যাবে পর্ষদের সার্ভারে।
এদিকে যে কোনও রকম ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের জন্য। ধরা পড়লে পরীক্ষা বাতিল পর্যন্ত করা হতে পারে বলে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেও। প্রশ্নপত্র খোলার আগেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফোন প্রধানশিক্ষকের কাছে আলমারি অথবা লকারে জমা রাখতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন ইনভিজিলেটররা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে ধরা পড়লে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। এদিকে স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ভিডিওগ্রাফি ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।