NBlive পোর্টজিনঃ
শেষ অন্ধকার
সন্দীপ কুমার ঝা
এত ঘৃণ্য অন্ধকার চারিদিকে,
আজ মরে যেতেও ইচ্ছে করছে না আমার।
মৃত্যুর যথাযথ বিচারের জন্য
একটা সন্মান জনক আঁধার তো লাগে।
মৃতের জন্য আনা রজণীগন্ধার গুচ্ছ,
আজও যদি গুঁজে দিতে পার বন্দুকের নলে,
সব মৃত্যু তবে,সূর্যের মত আলোকিত হয়।
এত ছিঃ ছিঃ!এত ঘৃণা,কালো চারিদিকে
আজ মরে যেতেও তীব্র বমি পাচ্ছে আমার..
বোধি
সন্দীপ কুমার ঝা
আজ,আর কোনও জানাশোনা নেই তোমার সাথে!
বোধিবৃক্ষের তলায়,যা কিছু রেখেছ
বহুকাল আগেই,
পথ মুখ ফিরিয়েছে।
এখন শতাব্দীময়,কেবল মূর্তি হয়ে থাকা।
আমরা বাঁচব রক্তহাতে!
ঠিকানা হারিয়েছি আমরাও,এখন এই মাঝরাতে..
ভ্যালিডিটি
সন্দীপ কুমার ঝা
গর্ভবতী মাঠ।
ঢলঢলে সবুজে বিস্তারিত ভালোবাসা মাখে।
এখানেই সাতজন্ম আমার ,খাবি খায়,বাঁচে।
এখানেই আমার সমস্ত ইচ্ছের আঁটি
অপেক্ষায় সাজানো থাকে।
ঈশ্বরকে বলে দিও,লাষ্ট সিনে আমি প্লে করব না’
ঈশ্বরকে বলে দিও,তার সই জাল করে
আমি বাড়িয়ে নিয়েছি আয়ুর ভ্যালিডিটি!
খুন ও রোদেরা
— সন্দীপ কুমার ঝা
আঁশবটিতে কুচি কুচি করে রাখা হিসেব।
এসবও তো খুন!
এসব আন্তরিক মৃত্যুর পাশেই তো থাকে
দুর্ঘটনার মত,গভীর এক ভালোলাগা।
‘এমন দিনে তারে’….গুনগুন।
দেখ! আমাদের মৃত্যুকে, এখনও পাহারা দিচ্ছে,
জন্মদিনের মোম।
উথাল ঢেউ, কিনারে পাতলা হয়ে ঘুমালে,
খুব ব্যস্ত হয়ে যাব আমরা।
আচার বয়ামের সাথে, রোদের ভালোবাসায়
বিস্তৃত রোদে শুকোতে দেব, সব রক্তের দাগ
বাসি বেণারসী আর ন্যাপথালিন।