
NBlive চোপড়াঃ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ব্যাপক বোমাবাজি, এলোপাথারি গুলি। গুলিবিদ্ধ গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের দাদা। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের হাসকারি গ্রামে। গুরুতর জখম মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান হামিদুল রহমানের দাদা মজিরুদ্দিন আহমেদকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ তৃণমূল নেতা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই নইমুর আলম সহ সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। হাসকারি গ্রামে চোপড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহত মজিরুদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোররাতে চোপড়া থানার মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান হামিদুল রহমান ও তার দাদা মজিরুদ্দিন আহমেদের বাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ব্যাপক বোমাবাজি ও এলোপাথারি গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন প্রধান হামিদুলের দাদা মজিরুদ্দিন। তার বাঁ হাতে গুলি লাগে। আহত মজিরুদ্দিন আহমেদের স্ত্রী মজিনা খাতুন ও ছেলে মনসুর আলম অভিযোগ করেছেন এই আক্রমণের ঘটনার সাথে মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাই নইমুর আলম জড়িত।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগেই চোপড়া ব্লকের এই মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয় এবং প্রধান নির্বাচিত হন হামিদুল রহমান। অভিযোগ বোর্ড গঠন ও প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকায় তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কাজিয়া লেগেই ছিল। গুলিবিদ্ধ মজিরুদ্দিনের পরিবারের অভিযোগ, প্রধান না হতে পারার কারণে প্রতিহিংসায় এই আক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছে প্রাক্তন প্রধান জাহাঙ্গীর ও তার ভাই নইমুর আলম। তাদের বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন ভোর রাতের বোমাবাজি ও গুলি চালনার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে মাঝিয়ালি গ্রামপঞ্চায়েতের হাসকারি গ্রামে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।