জেলার ৫০০ বছরের প্রাচীন পুজো কাকড়শিং-এর দুর্গাপূজা

Nblive ওয়েব ডেস্ক : হাতে আর একটি দিন বাকি তার পরেই আট থেকে আশি মেতে উঠবেন শারদ উৎসবে। জেলার প্রাচীন পুজোগুলির একটি হল হেমতাবাদের কাকড়শিং এলাকার পুজো। প্রতিবারের মত এবারেও নিয়ম মেনেই শুরু হয়েছে পুজো প্রস্তুতি। চর্তুভূজা উমাই চন্ডী রূপে দেবী পুজিতা হন এখানে। পূজা উপলক্ষ্যে বসে মেলাও।
স্থানীয় প্রবীণরা জানান, বাংলাদেশের এক জমিদার এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন প্রায় ৫০০ বছর আগে। দেশ ভাগের সময় জমিদার স্থানীয় গ্রামবাসীদের পুজোর দায়িত্ব দিয়ে যান। এক সময় এই এলাকা জুড়ে ছিল ঘন জঙ্গল। অনেক পরে এখানে দেবী চন্ডীর পাকা মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। মায়ের নামে নিজস্ব প্রায় ১০ বিঘা জমি রয়েছে। সেখানে সারা বছর চাষাবাদ করা হয়। পুজোর চার দিন গোটা গ্রাম জুড়ে চলে নিরামিষ ভোজন। অষ্টমীর ভোরে মন্দিরে পাঁঠা বলি হয়। মায়ের মাহাত্ম্য এতটাই যে সাধারণ মানুষ যে যার মনস্কামনা নিয়ে আসেন মা চন্ডী তা পূর্ণ করেন বলে জানান গ্রামবাসীরা। নবমীর দিন খিচুরি ভোগের আয়োজন থাকে দশমীতে মিষ্টি মুখ করানোর পরে বিসর্জন দেওয়া হলেও দেবী মূর্তি মন্দিরে থাকে। শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলা নয়, পুজোর সময় পাশের জেলা সহ কোলকাতা ও বিভিন্ন রাজ্য থেকেও ভক্তরা তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ায় পুজো দিতে আসেন। মা উমাচন্ডী কাউকে খালি হাতে পাঠান না বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা ফলেন দেবশর্মা।