নেই নিকাশি ব্যবস্থা, নেই পানীয় জল। জমা জলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরেও মেলেনি ব্লিচিং পাউডার৷ বসবাসের অযোগ্য অবস্থা রায়গঞ্জের কোটগ্রামে।
রায়গঞ্জে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে নাগরের জল
Bengal Live রায়গঞ্জঃ প্রায় তিন মাস থেকে জলবন্দী বাসিন্দারা। দুর্গন্ধ, রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে তাঁদের। দেখা নেই প্রশাসনের। জল নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই। ডুবে রয়েছে রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি। মঙ্গলবার প্রতিবাদ জানিয়ে রায়গঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দ্বারস্থ হন সুভাষগঞ্জ কোটগ্রামের মানুষ৷ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে পথ অবরোধ করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
বৃষ্টি কমলেও নামেনি জল, যাতায়াত চলছে ছোট নৌকায়
বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামে নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ফলে বর্ষার শুরু থেকেই জল জমে রয়েছে কোটগ্রামে৷ প্রায় তিনমাস সময় পেড়িয়ে গেলেও এখনও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি৷ ফলে নিজেদের দুর্দশার কথা জানাতে মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ বিডিও অফিসে হাজির হন কোটগ্রামের শতাধিক বাসিন্দা৷ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি লিখিত ভাবে সমস্যার কথা জানান তাঁরা৷ তবে আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ, তাঁদের সমস্যার কথা শোনার জন্য সময় দেননি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।
ফের বন্যা পরিস্থিতি উত্তর দিনাজপুরে, জলমগ্ন বহু এলাকা, পরিদর্শনে জেলাশাসক
আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্যতম দিব্যেন্দু সরকার জানান, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সব জল ডুবে রয়েছে গত তিন মাস থেকে। জমে থাকা বদ্ধ ও নোংরা পচা জল থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ। জলবাহিত রোগের পাশাপাশি মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে কোটগ্রাম এলাকায়। পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসন সকলের কাছেই এলাকার দুর্গত বাসিন্দারা সমস্যা সমাধানের জন্য দরবার করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। মেলেনি ব্লিচিং পাউডার, পানীয় জল। তাই এদিন বাধ্য হয়ে এলাকার সমস্যা জানাতে রায়গঞ্জ বিডিও অফিসে এসেছি আমরা। তবে বিডিও সাহেব আমাদের সাথে দেখা করেননি। আমরা লিখিত ভাবে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। এলাকায় জীবনযাপন করার মতন পরিস্থিতি নেই। ফলে আগামী দুইদিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে পথ অবরোধ করা ছাড়া তাঁদের আর কোনও রাস্তা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন দিব্যেন্দু সরকার।