রায়গঞ্জ থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু যুবকের, আন্দোলনের হুমকি বিজেপির

থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু। বিজেপির অভিযোগ, পিটিয়ে খুন করেছে পুলিশ। মৃতের মায়ের দাবি, আমার ছেলে ফিরিয়ে দাও।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু রায়গঞ্জে। পুলিশ লকআপে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে। মৃতদেহ রাতেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির। বুধবার রাত থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা ইটাহারের নন্দনগ্রামে ও রায়গঞ্জে। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি দ্বিতীয় বার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হোক বলে দাবি তুলেছেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী। বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব৷
বিজেপির অভিযোগ, বুধবার ইটাহার থানার নন্দনগ্রাম বাজার এলাকা থেকে কেউ না কারা অনুপ রায় নামে এক বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে যায়৷ এরপর ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ ওই বিজেপি কর্মীর মা জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজারে গিয়েছিল অনুপ। শুনেছি, সেই সময় পুলিশ আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ আমি আমার ছেলেকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই।
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, ওই যুবককে পুলিশ লক আপে পিটিয়ে মারা হয়েছে। কিডনি ফেটে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনুপের৷ এরপর পুলিশ রাতের অন্ধকারেই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে৷ আমরা জানি, আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশ মিথ্যা গল্প সাজাবে। শুধু মাত্র বিজেপি করার জন্য একটা তরতাজা প্রাণ চলে গেল। আমরা দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করার জন্য সিবিআই তদন্ত চাইছি৷
পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘুঘুডাঙা এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনুপ রায়ের নাম উঠে আসে৷ সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুপকে থানায় আনা হয়। এরপরেই আচমকা অচৈতন্য হয়ে যায় অনুপ রায়৷ শীঘ্রই রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর জানা গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।