রায়গঞ্জ

অপহরণ কান্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে, গ্রেপ্তার দুই

কেঁচো খুড়তে কেউটে! অপহরণ মামলার তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ রায়গঞ্জ থানার পুলিশের। গ্রেপ্তার হরিয়ানার বাসিন্দা খুনের ঘটনায় জড়িত দুই অভিযুক্ত।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ অপহরণ কান্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্য তথ্য উঠে এলো রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে। গ্রেপ্তার হরিয়ানার বাসিন্দা খুনের ঘটনার মূল দুই অভিযুক্ত। শনিবার দুই আসামীকে আদালতে পেশ করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।

রায়গঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুইজনের নাম মদন শর্মা ও সুজন বিশ্বাস। দু’জনেরই বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি এলাকায়। মদন শর্মাকে অপহরণ করার অভিযোগেই মূলত গ্রেপ্তার করা হয় সুজন বিশ্বাসকে। এরপর দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, পেশায় লরিচালক মদন শর্মা ও সুজন বিশ্বাস চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনিতে যায়। সেখানেই পরিচয় হয় হরিয়ানার বাসিন্দা সম্বীর ধাইয়ার সাথে। অভিযোগ, এরপরেই সুজন ও মদন দুজনে মিলে ওই ব্যক্তিকে খুন করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্তে নেমে কালচিনি থানার পুলিশ সুজনকে গ্রেপ্তার করলেও গা ঢাকা দেয় মদন। তিনমাস কারাবাসে থেকে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে করণদিঘিতে ফিরে আসে সুজন বিশ্বাস।

জানা গেছে, জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেই পুরোনো বন্ধুর সাথে দেখা করতে চায় সুজন। গত ২৬ মে মদন শর্মাকে দেখা করার জন্য ডেকে পাঠায় সে। এরপরেই মদন শর্মার স্ত্রী রায়গঞ্জ থানায় স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন। অপহরণকারী পাঁচলক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান মানসী শর্মা। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।

শুক্রবার রাতে করণদিঘি থানার রসাখোয়া এলাকার ভোপলা থেকে অপহৃত মদন শর্মাকে উদ্ধার করে পুলিশ। একইসাথে অপহরণকারী সুজন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে তদন্তকারীরা। রাতে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কালচিনি খুনের ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিশ। ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, খুনের ঘটনা নিয়ে ওই দুইয়ের মধ্যে লেনদেন নিয়ে কোনও জটিলতা তৈরি হওয়ার কারণেই এই অপহরণ। ধৃত মদন শর্মা ও সুজন বিশ্বাসকে এদিন আদালতে পেশ করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কালচিনি থানার তদন্তকারীদের হাতে ধৃতদের তুলে দেওয়া হতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

Related News

Back to top button