ইসলামপুর

তৃণমূল বিধায়কের ডাকা সালিশিতে  ছুরিকাহত দলীয় কর্মী, ফের উত্তেজনা চোপড়ায়

Bengal Live চোপড়াঃ তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ডাকা সালিশি সভায় উত্তেজনা। সভায় হাজির হয়ে বিধায়কের সামনেই ছুরিকাহত হলেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, ওই কর্মীকে চাকু মেরেছে সিপিএম। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন সিপিএম নেতৃত্বের পালটা দাবি, তৃণমূলেরই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ছুরিকাহত হয়েছেন ওদেরই দলের কর্মী। ঘটনাকে ঘিরে ফের তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়।

জানা গিয়েছে, জমি নিয়ে দুই পক্ষের একটি বিবাদ মেটাতে রবিবার সন্ধ্যায় চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়িতে একটি সালিশি সভা বসে। সালিশি শুরু হয় চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের উপস্থিতিতে। সভা শুরু হতেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। সেই উত্তেজনার মুহুর্তেই খুরশেদ আলি নামে এক ব্যক্তি হানিফ আলম ওরফে রাজু নামে এক ব্যক্তিকে আচমকা চাকু মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। হানিফের পাঁজরে চাকুর আঘাত লেগে গভীর ক্ষত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চোপড়ার দলুয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তৃণমূলের দাবি, আহত হানিফ তাদের দলের কর্মী। অন্যফিকে অভিযুক্ত খুরশেদ সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী।

আহত হানিফের বাবা চাঁদ মহম্মদ জানিয়েছেন, “আক্রমণকারী খুরশেদ আলি সিপএমের দুষ্কৃতী। জমির দখল নিয়ে ওদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একটা বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ মেটাতে এদিন বিধায়ক দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশিতে বসেছিলেন। সেই সময় বিধায়কের সামনেই খুরশেদ আচমকা আমার ছেলের উপর চাকু নিয়ে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়।”

সিপিএম নেতা বিকাশ দাস অনশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তৃণমূল শিশুসুলভ ও হাস্যকর মন্তব্য করছে। তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে সিপিএম সালিশি সভায় বসতেই পারে না। তাছাড়া অভিযুক্ত আমাদের দলের কেউ নয়। আসলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে নিজেরাই নিজেদের লোককে চাকু মেরে সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।”

এদিকে ঘটনার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় সালিশি সভা ভেস্তে যায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হবে বলে হানিফের বাবা জানিয়েছেন।

Related News

Back to top button