রায়গঞ্জ

মা-কে খুন করার অভিযোগ দুই মেয়ের বিরুদ্ধে, গণপিটুনি  চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে

মা-কে খুন করার অভিযোগ দুই মেয়ের বিরুদ্ধে, গণপিটুনি চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে

Bengal Live রায়গঞ্জঃ মাকে খুন করার অভিযোগ দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। পুকুর থেকে উদ্ধার কৃষ্ণা দে রায় নামে ওই শিক্ষিকার মৃত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জের রামকৃষ্ণপল্লীতে। জানাজানি হতেই অভিযুক্ত দুই মেয়েকে গণপ্রহার দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত দুই মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা কৃষ্ণা দে রায় অষ্টমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সকালে গোয়ালপাড়ার পাতপুকুরে কৃষ্ণাদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কৃষ্ণাদেবীর দুই মেয়ে তাঁর উপর চরম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। এই বিষয় নিয়ে কৃষ্ণাদেবী স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তাঁকে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু মাতৃস্নেহের কারণে তিনি মেয়েদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নি।

এরপর কিছুদিন শান্ত থাকার পর পুজোর সময় থেকে আবার অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত ৬ অক্টোবর অষ্টমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা কৃষ্ণা দে রায়। শনিবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে ঢুকে তাঁর দুই মেয়েকে ব্যাপক গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। উত্তেজিত বাসিন্দাদের হাত থেকে দুই মেয়েকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা দুই মেয়ের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। অপরদিকে অভিযুক্ত এক মেয়ে শ্রেয়া রায় জানিয়েছেন, আমরা ভেবেছি মা মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। তাই আর তাঁর খোঁজ করিনি। এরকম মা মাঝেমধ্যেই না বলে মামার বাড়ি যেতেন। মায়ের সাথে অশান্তি বা অত্যাচারের কথা অস্বীকার করেছে সে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

Related News

Back to top button