রায়গঞ্জ

ডিসিপ্লিন শেখাতে ছাত্রের চুল কাটলেন প্রধান শিক্ষক, বিক্ষোভ রায়গঞ্জের স্কুলে

শৃঙ্খলাভঙ্গ ও ছাত্র সুলভ আচরণ না থাকায় একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত এক ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ শৃঙ্খলাভঙ্গ ও ছাত্র সুলভ আচরণ না থাকায় একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত এক ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই নিয়ে শনিবার স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রের পরিজনেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে পৌঁছায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।

একাদশ শ্রেণীর ওই পড়ুয়া জানিয়েছে, শুক্রবার এক বন্ধুর সাথে স্কুলেই তার গণ্ডগোল হয়। এরপর তার চুলের মুঠি ধরে প্রধানশিক্ষক সহকারি প্রধান শিক্ষকের ঘর থেকে স্কুল মাঠ পর্যন্ত ঘোরায় এবং চুল কেটে দেয়। পুরো ঘটনাটি স্কুলের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকারা, পড়ুয়ারা দেখতে পায়। নিগৃহীত ওই ছাত্রের দাবী, এই ঘটনার পর সে ভীত ও লজ্জিত।

আরও পড়ুনঃ

চন্দ্রযান-২ এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সাবেক রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রাক্তনী

জানা গেছে, ঘটনার পর বাড়ি ফিরে পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে আপলোড করে ওই ছাত্র। একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রের অভিযোগ, রাতেই তার বাড়িতে স্কুলের এক শিক্ষক যান এবং ফেসবুক থেকে পোস্টটি তুলে নিতে বলেন। নইলে স্কুলের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা অভিযোগ করলে আর কোনও স্কুলে ভর্তি হতে পারবো না বলেন তিনি।

ওই ছাত্রের মা অনিমা সরকার বলেন, আজকে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। এখন দেখি তিনি কী বিচার করেন। শাসন শিক্ষকরা করতেই পারেন তবে চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। স্কুলের পক্ষ থেকে আমাদের বিষয়টি জানাতে পারতো।

সুদর্শনপুর দ্বারিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত বলেন, টিফিনের পর একাদশ শ্রেণীর বানিজ্য বিভাগের একটি ছাত্রকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছিল। বিষয়টি শিক্ষক ও শিক্ষিকারা দেখতে পায়। স্কুলের এন্টি র‍্যাগিং কমিটির সদস্যরাও বিষয়টি দেখেন। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ ছিল। স্কুলের শৃঙ্খলা ঠিক রাখবার জন্য সাবধান করা হয়।

একাদশ শ্রেণীর ওই পড়ুয়ার রঙ করা চুলও কেটে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ বাবু। তাঁর দাবী, ছাত্র সুলভ আচরণ না থাকায় এই কাজটি করা হয়। চুল কাটা, না কাটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে না পড়লেও আমরা বিশ্বাস করি,বিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্রও আমাদের সন্তানসম। ছেলে হিসেবেই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এখানে অনুতপ্ত হওয়ার কোনও বিষয় নেই। আমি একজন শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের প্রধান হওয়ায়, আমি মনে করি, ওরা যেন বিপথগামী না হয় এবং

স্কুলের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যেইটুকু দরকার সেইটুকু শেখাতে হবে। আন্তরিক ভাবে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত।

Related News

Back to top button