হুঁশ নেই মানুষের, রায়গঞ্জে লকডাউন নিশ্চিত করতে বাজার নিয়ে নতুন ভাবনা প্রশাসনের

এখনও হুঁশ নেই একাংশ রায়গঞ্জবাসীর।সকাল হলেই বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা৷ লকডাউনের বারোটা বাজিয়ে রোজই ব্যাপক ভিড় জমছে বাজারগুলিতে৷
Bengal Live রায়গঞ্জঃ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত ৯০৮। মৃত ১৯। তবু এখনও হুঁশ নেই একাংশ রায়গঞ্জবাসীর।সকাল হলেই বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা৷ লকডাউনের বারোটা বাজিয়ে রোজই ব্যাপক ভিড় জমছে বাজারগুলিতে৷ একাংশ মানুষের এই আচরণে তীব্র অসন্তুষ্ট রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস। সমস্যা মোকাবিলায় এবার তাই নতুন পথ। বাজারগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে সবজি দোকান বসানোর বার্তা দেওয়া হল প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি ভ্যানরিক্সা করে চলমান বাজার পরিষেবা চালু করার চিন্তাভাবনাও করছে প্রশাসন।
লকডাউনের মধ্যে বাজারঘাটে সাধারণ মানুষের সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং অমান্য করার বিষয়টি নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস৷ তিনি বলেন, বাজার নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। মানুষকে বারবার বলার পরও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স না মেনে রোজ বাজারে মানুষ ভিড় করছে৷ কোনও ভাবেই কথা শুনছেন না সাধারণ বাসিন্দারা। তাই প্রশাসন বাজারগুলিকে শহরজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি বাজারকে পাঁচটি বাজারে ভাগ করে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
শনিবার রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক অর্ঘ্য ঘোষের নেতৃত্বে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের ডিএসপি প্রসাদ প্রধান, পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস, রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি পুলিশবাহিনী নিয়ে রায়গঞ্জ শহরের মোহনবাটি বাজার, গোশালা বাজার, চণ্ডীতলা বাজার পরিদর্শন করেন। ফল, শাকসবজি সহ সমস্ত বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন তাঁরা।
বিক্রেতাদের কাছে প্রশাসনের আবেদন, ভ্যানরিকশা করে পাড়ায় পাড়ায় সব্জি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি করুন। একইভাবে ব্যবসায়ী সংগঠন রায়গঞ্জ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়িও ব্যবসায়ীদের কাছে মোহনবাটি বাজার বন্ধ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক অর্ঘ্য ঘোষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মানুষের কাছে মুদি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। লকডাউন সফল করতে বাজারগুলিকে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন মাঠে ফাঁকা ফাঁকা করে বাজার বসাতে বলা হচ্ছে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা জিনিস কিনতে পারেন। এছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় ভ্যানরিক্সা করে সবজি বিক্রি করার আবেদন জানানো হচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে।