রায়গঞ্জ

মৃত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে রায়গঞ্জের বিধায়ক, তদন্তে নামল পুলিশ কুকুর

কংগ্রেস কর্মী দেবেশ বর্মণের রহস্য মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, দেবেশ বর্মণকে তৃণমূল কংগ্রেস খুন করেছে। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ মৃত কংগ্রেস কর্মী দেবেশ বর্মণের বাড়িতে পৌঁছলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। মঙ্গলবার দেবেশ বর্মণের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারকে সাথে নিয়ে মৃতের বাড়িতে পৌঁছান বিধায়ক। মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করার পাশাপাশি দেবেশ বর্মণের ছেলের সাথে কথা বলেন তিনি। এই বিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবারের লোকেরা দেবেশ বর্মণকে কংগ্রেস কর্মী হিসেবে জানালেও শেষে তিনি আমাদের ভালো সমর্থক ছিলেন। এলাকায় দেবেশ বর্মণের জনপ্রিয়তা চরমে ছিল। সেই জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই খুনের ঘটনার পেছনে রয়েছে বলে দাবি বাসুদেব সরকারের। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল।

মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ থানার গৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিষ্ণপুর এলাকায় কংগ্রেস কর্মী দেবেশ বর্মণের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা বাঁধা অবস্থায় আম গাছে কংগ্রেস কর্মীর মৃতদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেবেশ বর্মণকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য কালিয়াচক ও মালদায়

কংগ্রেস কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী রাঙ্গু মন্ডলও। এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছান রায়গঞ্জ থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ পুলিশ কুকুর নামিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়।

এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, তৃণমূলের পতাকা বাঁধা একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এই খুনের ঘটনার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের পরেই কে বা কারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত তা জানা যাবে।

কংগ্রেস কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে, খুন নাকি আত্মহত্যা ?

এদিকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, দেবেশ বর্মণ কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। আমার নির্বাচনী বুথ এজেন্ট ছিলেন দেবেশ। সে কোনওভাবেই বিজেপির সমর্থক ছিলেন না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে এই হত্যার ঘটনার সাথে যুক্ত তা তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে। তৃণমূলের পতাকা পাওয়া যাওয়া মানেই সেই দল খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল তা প্রমাণিত হয় না।

Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button