ইসলামপুররায়গঞ্জ

বিপদ সীমার কাছাকাছি মহানন্দা, কুলিক, বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে মন্ত্রী

জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে বইছে একাধিক নদী। কুলিক, নাগর, গামারি, টাঙন, সুই, মহানন্দা সহ একাধিক নদী বইছে বিপদ সীমার কিছু নিচ দিয়ে।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ একটানা বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার একাধিক নদী। মহানন্দা নদীর জলস্ফীতির জেরে বিপর্যস্ত ইসলামপুর মহকুমা এলাকার জনজীবন। চোপড়া, চাকুলিয়া, ডালখোলার একাধিক এলাকাতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। নদী ভাঙনে তীব্র আতঙ্কিত নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

জানা গেছে, চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘিরনিগাঁও,গোয়ালগছ, চান্দাপাড়া,লথাগছ সহ বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বহু গ্রামে জল আটকে রয়েছে। একটানা লাগাতার বর্ষণে এলাকা যে শুধু জলমগ্ন হয়েছে তাইই নয় বরং ভাঙছে পাড়, ভাঙছে বাঁধ। এই ভাবে ভাঙন চলতে থাকলে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের দাবী, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের হফতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিতলঘাটা সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

গ্রামবাসী মহম্মদ মুসলিম জানান, আদৌও তারা এই গ্রামে থাকতে পারবেন কিনা তা জানা নেই । কারণ চোখের সামনে যেভাবে নদীর পাড় ও বাঁধ ভাঙছে তাতে তাদের গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাকির আহমেদ জানান, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, একটানা দশদিন ধরে যে বৃষ্টি হয়ে চলছে তাতে করে প্রশাসনের এই বিষয়ে এর আগেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। কারণ যেভাবে নদীর পাড় ভাঙছে তা ক্রমশ আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে। শুরুর দিকে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে এই আতঙ্ক তাদের তৈরি হতো না বলেও অভিযোগ।

এদিকে কানকি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার, টিটিয়া, সানিসুইয়া, সুইয়া,মাটিয়ারি, নয়া নগর, দেওগাঁওতে নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে। ডালখোলা পুর এলাকার ১১-১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানন্দার জল ঢুকেছে বলে জানা গেছে। মনোরা, সূর্যাপুরে ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। করণদিঘি, গোয়ালপোখর ২ ব্লকে রিলিফ ক্যাম্প শুরু করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিপদসীমার কাছাকাছি দিয়ে বইছে একাধিক নদী। কুলিক, নাগর, গামারি, টাঙন, সুই, মহানন্দা সহ একাধিক নদী বইছে বিপদ সীমার কিছু নিচ দিয়ে। তবে এখনও পর্যন্ত চিন্তার তেমন কিছু না থাকলেও বৃষ্টি না কমলে বিপদ সীমা পেরিয়ে নদীর জলে প্লাবিত হতে পারে একাধিক এলাকা বলে আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা।

রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, থানার বড়বাবু সহ সকলকে নিয়ে এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। ক্যাম্পে খাবার বিতরণ করার কাজ দেখভাল করছি। বিহারের জল ঢুকে মূলত এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিহার প্রশাসনের সাথে কথা বলে কালভার্ট তৈরি করার দিকে নজর দিচ্ছি।

Related News

Back to top button