রায়গঞ্জ

সভাকক্ষ ব্যবহারের অনুমতি না পেয়ে ধর্ণায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ

সভাকক্ষ ব্যবহারের অনুমতি না পেয়ে ধর্ণায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ

Bengal Live রায়গঞ্জঃ সেমিনারের অনুমতি দিয়েও তা বাতিল করার প্রতিবাদে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধর্ণা আন্দোলনে সামিল ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই অধ্যাপকদের একাংশ। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বাকরুদ্ধ করার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান দুর্নীতি নিয়েও এদিন সরব হন জাতীয়তাবাদী অধ্যাপক ও গবেষক সংঘের সদস্য অধ্যাপকরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধর্ণা আন্দোলনে যোগ দিতে এসে অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, আমরা শিক্ষক। আমরা কোনও অনৈতিক বা বেআইনি কাজ করতে পারি না। আমরা “জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা” বিষয়ে একটি সেমিনার করতে চেয়েছিলাম। সেই কারণে আমরা উপাচার্যের কাছে হলঘর চেয়ে আবেদন জানাই। সেদিনই মৌখিক ভাবে অনুমতি দেন উপাচার্য। এরপর ৮ আগস্ট লিখিত ভাবে আমাদের হলঘর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।

কিন্তু ১৯ আগস্ট পুরোনো একটি অর্ডার দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সেমিনারের অনুমতি বাতিল করে দেন। দেবাশিসবাবু বলেন, অনুমতি বাতিলের পরেই জানতে চেয়েছিলাম, “প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি হল” ঘরে যদি সেমিনার করতে বাধাই থাকে তবে কেন আমাদের লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর আমরা পাইনি। সমস্যার সমাধান করার জন্য আর্জি জানালেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হন দেবাশিসবাবু। আর্থিক দুর্নীতি, কাটমানি, ছাত্র ভর্তির বিনিময়ে টাকা নেওয়া সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “আমাদের ভাবতে লজ্জা হয়, একটি বিশ্ববিদ্যালয় জমির জাল দলিল তৈরি করে বলে। আমরা যাঁর নির্দেশে কাজ করি সেই মানুষটিই এই জাল দলিল তৈরির কাজে জড়িত।”

এদিকে অধ্যাপকদের তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। তিনি বলেন, “প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি মেমোরিয়াল হল” ডিপার্টমেন্টাল কাজেই শুধু ব্যবহার করা যাবে এমন একটি অর্ডার আমাদের কাছে রয়েছে। সেই কারণে উপাচার্যের নির্দেশে এই অনুষ্ঠানটি করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।

দেবাশিসবাবুর তোলা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে আমরা অভিযোগ তুলতেই পারি। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণ করতে হয়। যারা অভিযোগ তোলার তুলছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করছি। সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন।

Related News

Back to top button