রায়গঞ্জ

চলাচলের অযোগ্য, রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন ইটাহারের যুবক

ওই পথ দিয়েই ইটাহারের জামালপুর, টিটিহা, বোচকাপাড়া সহ একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ রোজ যাতায়াত করেন।

 

Bengal Live ইটাহারঃ দীর্ঘদিন থেকে বেহাল রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন গ্রামেরই এক যুবক। প্রশাসনের কাছে বারংবার দাবি জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় একলা চলো রে… গোলাম মর্তুজা। যুবকের উদ্যোগে সারা দিয়ে হাত মিলিয়েছেন গ্রামের অন্যান্যরাও। এমনই চিত্র উঠে এলো উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের কচুয়া গ্রামে।

সুই নদীর ধারে অবস্থিত মারনাই অঞ্চলের কচুয়া গ্রাম। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘাটে নামার প্রায় ২০০ মিটার পথ দীর্ঘদিন থেকে বেহাল। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের কাছে রাস্তা মেরামতির দাবি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও উদ্যোগই কেউ গ্রহণ করেনি। এদিকে এই পথ দিয়েই রোজ বীরনগর, টিটিহা, জামালপুর, বোচকাপাড়া সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত। ফলে নিত্যদিনের সমস্যা লেগেই রয়েছে গ্রামবাসীদের।

জানা গেছে, এই পরিস্থিতিতে রাস্তা মেরামতির দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা গোলাম মর্তুজা। ৬০ থেকে ৭০ ট্রলি মাটি ফেলে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তা ঢালাই করার কাজ শুরু করেছেন তিনি। গোলাম মর্তুজার উদ্যোগে সারা দিয়েছেন গ্রামের অন্যান্যরা। আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম করে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন অনেকে।

বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের পথ এই রাস্তা৷ দীর্ঘদিন থেকে সেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির কাছে একাধিকবার রাস্তা তৈরির দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি৷ তাই অগত্যা নিজের সাধ্যমত রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করেছেন তিনি বলে জানিয়েছেন গোলাম মর্তুজা। তাঁর এই উদ্যোগে গ্রামবাসীরাও হাত লাগিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এই বিষয়ে ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, বর্ষার সময় মাটির রাস্তা খারাপ হয়েই যায়। ওই এলাকার রাস্তা তৈরির অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। বর্ষার পরেই রাস্তার কাজে হাত দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

Related News

Back to top button