রায়গঞ্জ

টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে নিজেদের বাল্যবিবাহ রুখল তিন কন্যা

টোল ফ্রী নম্বরে অভিযোগ জানিয়ে নিজেদের বিয়ে নিজেরাই রুখে দিল তিন কন্যা। এখনই বিয়ে নয়, উচ্চ শিক্ষাই তাদের মূল লক্ষ্য। এমন বার্তা দিয়েই পরিবারের চাপকে উপেক্ষা করে নিজেদের জীবনের লক্ষ্যকে বেছে নিল তারা। তিন কন্যার এই সাহসী গল্পই এখন মুখে মুখে ঘুরছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জবাসীর।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ টোল ফ্রী নম্বরে অভিযোগ জানিয়ে নিজেদের বিয়ে নিজেরাই রুখে দিল তিন কন্যা। এখনই বিয়ে নয়, উচ্চ শিক্ষাই তাদের মূল লক্ষ্য। এমন বার্তা দিয়েই পরিবারের চাপকে উপেক্ষা করে নিজেদের জীবনের লক্ষ্যকে বেছে নিল তারা। তিন কন্যার এই সাহসী গল্পই এখন মুখে মুখে ঘুরছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জবাসীর। বৃহস্পতিবার এই তিন কন্যাকে সম্বর্ধনা প্রদান করল কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। তিন ছাত্রীর সাহসীকতায় মুগ্ধ হয়েছেন তাঁরাও বলে জানিয়েছেন থানার আইসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বোচাডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তিন নাবালিকা। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে ঠিক হতেই তাঁরা নিজেদের বিয়ে রুখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরেই একত্রিত হয়ে টোল ফ্রী নম্বরে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানায়। অভিযোগ পেয়ে ওই তিন নাবালিকার বাড়িতে ছুটে যান জেলার চাইল্ড লাইন, কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসন ও কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন। পাশাপাশি ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথাও জানান। এরপরই ওই ছাত্রীদের পরিবার থেকে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মাস খানেক ধরে জেলার বিভিন্ন গার্লস স্কুলে ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা, বাল্য বিবাহ রোধ এবং নিজেদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা নিয়ে সচেতনতা শিবির শুরু করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। কালিয়াগঞ্জের বোচাডাঙা গ্রামের নবম শ্রেণীর তিন ছাত্রীর এই গল্পই প্রমাণ করেছে পুলিশের এই উদ্যোগ সফল হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই তিন সাহসী কন্যাশ্রীকে তাঁদের সাহসীকতার পুরষ্কার স্বরুপ এদিন সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এদিনের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা চাইল্ড লাইনের সদস্য বিপুল দাস ও প্রসেনজিৎ দে এবং উপস্থিত ছিলেন তিন নাবালিকার অভিভাবকেরা।

Related News

Back to top button