বিজেপি প্রধানের স্বামীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রধানের স্বামী। অভিযোগ পাওয়ার পরেই মানিকচক থানার পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে।

Bengal Live মালদাঃ দাবি মতো ১০০ দিনের কাজের বিলে সই করতে রাজি না হওয়ায় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচক ভূমি দপ্তর সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনায় বিজেপি প্রধানের আক্রান্ত স্বামী মানিকচক থানায় ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার।

মানিকচক ব্লকের বিজেপি পরিচালিত নাজিরপুর পঞ্চায়েত। প্রধান পদে রয়েছেন বিজেপির পম্পা সরকার। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম স্ত্রীর সাথে দেখভাল করেন স্বামী সুজয় গোস্বামী। তাঁকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই অঞ্চলের বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা রাজকুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। রাজকুমার মন্ডলের স্ত্রী দীপালি মন্ডল তৃণমূল থেকে নির্বাচিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও কর্মাধ্যক্ষ।

দুই বান্ধবীর স্বভাব এখনও বদলায়নি, বনজঙ্গলের আড়ালটাই পছন্দ

ঘটনায় আক্রান্ত সুজয় গোস্বামী জানান, “প্রায় তিন মাস আগে ১০০ দিনের কাজের একটি ফর্ম ভর্তি করে আমার কাছে আসেন রাজকুমার মন্ডল। বেআইনি ভাবে বিল করে দেওয়ার চাপ দেন। কিন্তু সেই কাগজে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বাক্ষর ছিল না। পঞ্চায়েত সদস্যর স্বাক্ষরের জায়গায় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষর স্বাক্ষর করে পুরো অবৈধভাবে বিল করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু এই অবৈধ কাজে সম্মতি দিইনি। ফলে বিল না পাস হওয়ায় ওই তৃণমূল নেতার কর্মীরাও টাকা পাননি। এই নিয়ে আমার উপরে আক্রোশ ছিল তাঁর।” অভিযোগ জানিয়ে সুজয়বাবু আরও বলেন, নিজস্ব কাজে এদিন মানিকচক ভূমি দপ্তরে এসেছিলাম। তখন আমাকে দেখতে পেয়ে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করে দেন তৃণমূল নেতা রাজকুমার মন্ডল। স্থানীয় কয়েকজন ছুটে এসে আমাকে বাঁচায়। এরপর প্রাণে মারার হুমকি দেন ওই তৃণমূল নেতা। থানায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাজকুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলছে সিকিম পর্যটন দপ্তর

এদিকে অভিযোগ পেয়ে রাতেই মানিকচক থানার পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে। এ প্রসঙ্গে মালদা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি সন্তোষ মন্ডল জানান, একের পর এক বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল। তারই পুনরাবৃত্তি মানিকচকের এই ঘটনা।এদিকে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রাজকুমার মন্ডল বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু জানান, মানিকচক ব্লকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত পেয়েছে বিজেপি। সেখানে তাদের নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল। বিজেপি এই ধরনের অভিযোগ করে বাজার গরম করার চেষ্টা করছে। আগামী দিনে বিজেপির দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের দখলে আসবে।

অ্যাডভেঞ্চার ও পর্বতারোহণের সহজ পাঠ,লিখেছেন বিশাল বিশ্বাস

Exit mobile version