জাতীয়

পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলছে সিকিম পর্যটন দপ্তর

করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েই পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দিচ্ছে সিকিম পর্যটন দপ্তর। অবশ্যই মেনে চলতে হবে কিছু বিধিনিষেধ।

 

Bengal Live ওয়েব ডেস্কঃ লকডাউন ভ্রমণ পিপাসুদের বন্দী করেছে ঘরের ভেতর। পাহাড়ের ভেজা রাস্তা থেকে সবুজ তিস্তা, রাতের সমুদ্র থেকে লাল মাটির দেশ সমস্ত কিছুই আজ বহুদূরে। ভ্রমণ পিপাসুরা প্রতীক্ষায় বসে ভাবছেন, কবে আবার স্বাভাবিক হয় পৃথিবী !

ইতিমধ্যেই দার্জিলিং দুয়ার খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার সিকিমের পালা। অক্টোবরের পর থেকেই সিকিমের দরজাও খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। সিকিমকে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। এ বিষয়ে একপ্রস্থ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এই করোনার মধ্যে কতোটা সুরক্ষিত থাকবেন পর্যটকরা এ নিয়ে বেশ চিন্তিত পর্যটন মহল।

দুই বান্ধবীর স্বভাব এখনও বদলায়নি, বনজঙ্গলের আড়ালটাই পছন্দ

শুক্রবারের বৈঠকে “পুনরায় চালু হচ্ছে রাজ্য পর্যটন”‘ শীর্ষক একটি খসড়া পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয় “রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে বেশি দিন পর্যন্ত বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। এই পদক্ষেপ সিকিমের পর্যটন শিল্পকে পুনরূদ্ধার ও এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহন করবে”। এই খসড়া বেরিয়ে আসতেই কতগুলো শর্ত ও নির্দেশ বেরিয়ে আসেছে। যেগুলো মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। যে কোনও ট্র্যাভেল এজেন্ট এবং ভ্রমণ সঞ্চালনা সংস্থাকে পর্যটকদের পরিবহণ সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবার ক্ষেত্রে (পর্যটকদের পিক-আপ ও ড্রপ) রাজ্য পর্যটন দফতরের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। পর্যটন দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, সমস্ত সুরক্ষা-বিধি মানলে তবেই এই অনুমোদন মিলবে। DOT এবং CAV-এ নথিভূক্ত হোটেল ও ভ্রমণ সঞ্চালনা সংস্থাগুলিই এই আবেদনের যোগ্য। সিকিমে পর্যটকদের সমস্ত পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে ও পরিকাঠামোর তদারকির জন্য রংপো এবং মেলিতে পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ করা হবে। এখানে পর্যটকদের করোনার নেগেটিভ রিপোর্টের প্রমাণপত্র (৩ দিনের বেশি পুরনো হলে চলবে না), বুকিংয়ের প্রামাম্য নথিপত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখা হবে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হচ্ছে Central Monitoring Team নামে।

দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য মায়ের নামে স্কলারশিপ চালু করলেন সোনু সুদ

এদিকে সমস্ত কিছু অনেকদিন ধরে বন্ধ থাকার ফলে বিপদে পড়েছেন পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভর করে থাকা মানুষেরা। পর্যটন শিল্প আবার চালু হলে তারা এই বিপদের ঘেরা টোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন বলে আশা করছে পর্যটন মহল। সব মিলিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই সিকিমে আবার ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাবে বলেই আশা করা যাচ্ছে।

Related News

Back to top button