ভোট আসলেই মেলে প্রতিশ্রুতি৷ তবে সমস্যা মেটেনি আজও। দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে একই দাবি জানিয়ে আসছেন বাসিন্দারা৷
শরীরে বাসা বেঁধেছে কোন ব্যাধি? জিহ্বার রং চিনে বুঝে নিন
Bengal Live আলিপুরদুয়ারঃ ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতি দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেতেই সব সমস্যা সেই তিমিরেই থেকে যায়। এমনি একটি জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু বছরের পর বছর মিলছে শুধু প্রতিশ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি।ঘটনাটি ফালাকাটা ও মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের সংযোগ রক্ষাকারী মুজনাই নদীর লখিয়তুল্লা ঘাটের।
জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ সালে বিধ্বংসী বন্যায় ওই স্থানের পাঁকা সেতুটি ভেঙে যায়। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে বহু দাবিপত্র পেশ করা হলেও সেতু নির্মাণে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি দুই ব্লকের নেতা মন্ত্রী, ব্লক প্রশাসন থেকে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ। সেতু না থাকায় বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীদের। লখিয়তুল্লা ঘাটে মুজনাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ফালাকাটা ও মাদারিহাট- বীরপাড়া দুই ব্লকের বাসিন্দারা একটি সভা করে লখিয়তুল্লা ঘাট সেতু নির্মাণ কমিটি গঠন করে। সেই সময় সাংবাদিকদের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, মুজনাইয়ের পাঁকা সেতু নির্মাণের জন্য প্ল্যান এস্টিমেট নবান্নে পাঠানো হয়েছে, অর্থ দপ্তরের অনুমোদন আসলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। সেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করে এলাকার মানুষ। কিন্তু ফের আশাহত হতে হবে ভাবতে পারেননি এলাকাবাসী।
নতুন স্বাদে কইমাছ, দেখে নিন নারকেল কইমাছ এর রন্ধন প্রণালী।
অপেক্ষায় থাকতে থাকতে নির্ঘণ্ট বেজে গেলো বিধানসভা নির্বাচনের। নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়ায় এক প্রকার হতাশ এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর বক্তব্য, দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে দুই ব্লকের বামফ্রন্ট থেকে শুরু করে মাদারিহাটের বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা, ফালাকাটার বিধায়ক প্রয়াত অনিল অধিকারী থেকে শুরু করে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা এমনকি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পর্যন্ত বারবার সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ অবধি সেতু নির্মাণ হয়নি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বৈতরণী পেরিয়ে গেলে ক্ষমতায় যেই আসুক তাঁদের দীর্ঘদিনের এই দাবি পূরণ না হলে আগামীতে সর্বদলীয় ভাবে এলাকার স্বার্থে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেন তাঁরা।
