চোপড়ায় মৃত কিশোরীর গ্রামে বিজেপি নেতৃত্বকে ঢুকতে বাধা পুলিশের

কিশোরীর মৃতদেহ মর্গ থেকে চোপড়ায় নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতার গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন, রাজু ব্যানার্জী, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও নিশীথ প্রামানিক। পুলিশি বাধায় ফিরে আসেন তাঁরা। তবে বিজেপির হুমকি, গ্রামে তৃণমূল নেতারা ঢুকলে তাঁরাও সদলবলে যাবেন।
Bengal Live চোপড়াঃ চোপড়ায় মৃত ছাত্রীর গ্রামে বিজেপি সাংসদ ও নেতাদের ঢুকতে বাধা দিল পুলিশ৷ আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় বিজেপির নেতা ও সাংসদদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় ইসলামপুর জেলা পুলিশ৷ বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ আমাদের মৃতার বাড়ি যেতে বাধা দিয়েছে। আমরা কোনও ঝামেলা চাই না। তাই পুলিশের কথা মেনে নিয়েছি। কিন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা মন্ত্রী গ্রামে ঢুকলে আমরাও কোনও বাধা মানবো না।
রবিবারের সংঘর্ষের পর সোমবার সকাল থেকে ব্যাপক পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে চোপড়ায়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই ইসলামপুর হাসপাতাল থেকে চোপড়ায় মৃতার দেহ নিয়ে আসা হয়। দেহ নিয়েই একেবারে গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিজেপি নেতৃত্বের। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত হন চোপড়ায়। তখনই আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ চোপড়াতেই বিজেপি নেতৃত্বকে আটকে দেয়৷ গ্রামে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয় বিজেপি নেতৃত্বকে।
বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির দোহাই দিয়ে পুলিশ আমাদের চোপড়ায় বসলামপুরে মৃত ওই ছাত্রীর বাড়িতে যেতে বাধা দিয়েছে। আমরা অশান্তি চাই না। পুলিশ আমাদের সাতদিন সময় দিয়েছে দোষীদের গ্রেপ্তারের। সাতদিনের মধ্যে মূল অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হলে সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভয়ঙ্কর আন্দোলনে নামবে বিজেপি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি নেতা ও সাংসদদের মৃতা কিশোরীর গ্রামে যেতে আটকে দিল পুলিশ, কিন্তু যদি কোনও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বা মন্ত্রী ওই গ্রামে যান তাহলে আমরাও সদলবলে ওই গ্রামে যাব।