পোর্টজিন
“জাহির রায়হান- এক মুক্তির নাম” লিখেছেন ঐশ্বর্য্য কর্মকার
Bengal Live পোর্টজিনঃ পোর্টজিন কি? পোর্টজিন একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এটি বেঙ্গল লাইভের (bengallive.in) এর পোর্টজিন বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়।
১৯৩৫ সালে ১৯ শে আগস্ট জন্ম তাঁর নোয়াখালীতে। পিত মাদ্রাসা শিক্ষক। ১৯৫২ র একুশে ফেব্রূয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম দশজনের দলে তিনি। এই বীর অদম্য তরুণ হলে জাহির রায়হান। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধা , বিপ্লবী চলচিত্রকার , নাট্যকার , সাহিত্যিক , সাংবাদিক ও পত্রিকা – সম্পাদক।
পদ্মা নদীর মাঝি অবলম্বনে ঢাকায় জাগো হুয়া সভেরা তৈরির সময়ে তিনি ছিলেন সেই ছবির সহ পরিচালক। প্রথম ছবি ” কখনো আসেনি ” তৈরী করেছিলেন মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে। নারীর বন্দিজীবন ও তাঁদের আর্তনাদ , স্বপ্নের ট্রাজিক পরিণতি – এই ছিল ওই ছবির প্লট।
বিদ্রোহী তরুণী যে কিনা সমস্ত অচলায়তন ভেঙে দিচ্ছে – এই হলো তাঁর দ্বিতীয় ছবির প্লট। নাম ” কাঁচের দেওয়াল “।
উর্দুতে তৈরী তাঁর প্রথম রঙিন ছবি ” সঙ্গম ” ও ” বাহানা “।
১৯৬৬ সালে তৈরী করেন ” বেহুলা “। এই ছবিতে তিনি লোককাহিনী ভেঙে সমসাময়িক রাজনৈতিক অপমৃত্যু , জন্মৃত্যু নিয়ে তৈরী করেন।
১৯৭০ সালে তাঁর ” জীবন থেকে নেওয়া ” নামক রাজনৈতিক ছবি শুরু হয় ” আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রূয়ারি ” গানের প্রভাত ফেরির দৃশ্য দিয়ে আর শেষ হয় ” মুক্তি ” চিৎকারে। এই ছবিতে প্রথম ব্যবহার করা হয় ” আমার সোনার বাংলা ” গানটি , যা পরবর্তীকালে হয়ে ওঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
১৯৭১ সালে এই ছবিটি দেখানো হয় কলকাতায়। ঋত্বিক ঘটক , মৃনাল সেন প্রমুখরাও এই ছবির প্রশংসা করেছিলেন।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বর্বরতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা তুলে ধরেন stop genocide , A state is Born , Liberation নামক ছবি গুলি তে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী Stop Genocide – এই ছবির প্রশংসাও করেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে ফেরেন তিনি। ১৯৭২ সালে ছদ্মবেশী পাকিস্তানী সৈন্যদের হাতে নিহত হন এই প্রতিভাবান ব্যাক্তি মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে।
কীভাবে লেখা পাঠাবেন?
নীচে উল্লিখিত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিংবা ইমেল আইডিতে লেখা পাঠাতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার~ 9635459953
ইমেল আইডি~ bengalliveportzine@gmail.com
লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং একটি ছবি পাঠানো আবশ্যক।
ভ্রমণ কাহিনীর সঙ্গে নিজের তোলা দুটো ছবি পাঠাতে হবে।