পোর্টজিন
অর্জুন কন্যা – সমর আচার্য্য

Bengal Live পোর্টজিনঃ পোর্টজিন কি? পোর্টজিন একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এটি বেঙ্গল লাইভের (bengallive.in) এর পোর্টজিন বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়।
রাতের বিছানায় অর্জুন আর সুভদ্রার বাক্যালাপ চলছিল l সুভদ্রা হঠাৎ অর্জুনের মাথাটা ওর স্ফীত পেটের উপর চেপে ধরে বলে,—-দেখ, দেখ আমাদের ছেলেটা কেমন নড়াচড়া করছে l
অর্জুন সুভদ্রার ঠোঁটে আঙ্গুল চেপে ধরে বলে—উহু একদম ও কথা বলবে না, আমি বলেছি না –আমাদের মেয়ে হবে l সুভদ্রা ও সঙ্গে সঙ্গে বলে, না–না ছেলেই হবে l কতক্ষন তাদের এই ছেলে না মেয়ের খেলা চলেছিল, তা জানিনা l ততক্ষনে আমিতো ঘুমিয়ে পড়েছি l
কয়েক মাস পরেই নার্সিং হোমে ডাক্তার বাবু আমার মায়ের পেট চিরে আমাকে বের করলেন l মা তখন প্রায় অচেতন l নার্স দিদি আমাকে মায়ের চোখের সামনে তুলে ধরে বললেন,—–এই দেখুন আপনার মেয়ে হয়েছে l মায়ের যন্ত্রনা ক্লিষ্ট মুখটা মুহূর্তের জন্য কেমন মলিন হয়ে গেল l পরক্ষনেই আমার গায়ে হাত বুলিয়ে একটু আদর করে
দিলেন l
ঠাকমা, পিসি, দিদিমা, মাসি, ঠাকুরদা, দাদু সবাই আমায় দেখতে এলেন l সবারই চোখে মুখে কেমন একটা অতৃপ্তির ছাপ l শুধু আমার ঠাকুরদা, দাদুকেই দেখলাম বেশ আনন্দে আছেন l দাদু হেসে ঠাকুরদাকে বললেন,–প্রথম মেয়ে হয়েছে বিহাই, আপনার ঘরে লক্ষ্মী এলো l
পরে সবাই চলে গেলে বাবা আবার এলেন আমাকে আর মাকে দেখতে l বাবা মায়ের কাছে এগিয়ে এসে মিষ্টি হেসে মাকে বললেন,—–কি বলেছিলাম ম্যাডাম, বলেছিলাম না যে আমাদের মেয়ে হবে,–কি আমার কথা ঠিক হলো তো? বাবার কথায় মা একটু ম্লান পরাজিতের হাসি হেসে বাবার দিকে চাইলেন l যেন বাবাকে পুত্র সন্তান দিতে পারেননি বলে পরাজিত হয়েছেন l
আমি বড় হতে লাগলাম l দৌড়াতে গিয়ে পড়ে গেলে, ঠাকমা ছুটে আদর করে কোলে তুলে নিয়ে বললেন,—এমন করে দৌড়াতে হয় না দিভাই, তুমি যে মেয়ে l পড়ে কেটে গেলে দাগ হয়ে যাবে l
আমার বাবা বললেন—কিচ্ছু হবে না ওর, ও যে আমার মেয়ে, অর্জুন কন্যা অভিমুন্যা l
ঠাকুরদা আদর করে কোলে তুলে নিয়ে বললেন,—তুমি ভয় পেও না দিভাই, তোমাকে আমি চক্রব্যুহে প্রবেশ এবং নিষ্ক্রমণ দুটোই শিখিয়ে দেব l তবে সেটা সপ্তরথীদের নয়,——
সপ্তরথীনীদের l আমি ঠাকুরদার গলাটা জোরে চেপে ধরলাম l
কীভাবে লেখা পাঠাবেন?
নীচে উল্লিখিত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার কিংবা ইমেল আইডিতে লেখা পাঠাতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার~ 9635459953
ইমেল আইডি~ bengalliveportzine@gmail.com
লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং একটি ছবি পাঠানো আবশ্যক।
ভ্রমণ কাহিনীর সঙ্গে নিজের তোলা দুটো ছবি পাঠাতে হবে।