বালির সাথে রঙ মিশিয়ে কীটনাশক নামে বাজারে বিক্রি করছিল এক ব্যক্তি। হাতেনাতে ধরল কৃষি দপ্তর। চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে।
দীপাবলিতে হাতে বানানো পটাকা চকোলেট নিয়ে হাজির রায়গঞ্জের দম্পতি
Bengal Live রায়গঞ্জঃ বালির সাথে রঙ মিশিয়ে জাল কীটনাশক তৈরি হচ্ছিল কারখানায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কারখানায় হানা দিল উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষি দপ্তর। হাতেনাতে ধরা পড়ল কারখানার মালিক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার রূপাহারে। বাজেয়াপ্ত করা হল রঙ ও বালি।
অভিযোগ, বালির সাথে রঙ মিশিয়ে কীটনাশক নামে তা বাজারে বিক্রি করছিলেন রূপাহারের ভবেশ রায় নামে এক ব্যক্তি। বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে জাল কীটনাশক বাজারে বিক্রি করার ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষকেরা। এই খবর পাওয়ার পরেই শনিবার ওই কারখানায় হানা দেন কৃষি আধিকারিকরা। কারখানায় হানা দিতেই তাঁরা দেখেন কীটনাশক তৈরির ন্যুনতম কোনও উপাদান নেই সেখানে। শুধু মাত্র বালির সাথে রঙ মিশিয়েই তা কীটনাশক নামে বিক্রি করা হচ্ছিল। কৃষি আধিকারিকেরা এদিন হানা দিয়ে প্রায় ১ টন সামগ্রী আটক করে এবং কারখানাটি বন্ধ করে দেন। কারখানার মালিক ভবেশ রায়ের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি আধিকারিক।
হাইকোর্টের নির্দেশে নিষিদ্ধ আতসবাজি, রায়গঞ্জে গ্রেপ্তার তিন
কারখানার মালিক ভবেশ রায় জাল কীটনাশক তৈরি করার কথা স্বীকার করেছেন। জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর ( প্রশাসন) ডঃ বিপ্লব কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, অনুখাদ্য তৈরি করার লাইসেন্স আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জাল কীটনাশক তৈরি করার জন্য সমস্ত কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সীল করে দেওয়া হয়েছে ওই কারখানা। জাল কীটনাশকের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন এলাকায় প্রকাশ্যে জাল কীটনাশক তৈরি করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কালী পূজায় কেদারনাথের মন্দির বানাবে রায়গঞ্জের অনামী বয়েজ সুকান্ত ক্লাব