বিদেশ ফেরৎ সকলের উপরে নজর রয়েছে প্রশাসনের- জানালেন জেলা শাসক

জেলায় মোট ৩৬ জন বিদেশ ফেরৎ রয়েছেন। প্রত্যেককেই হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা জানানো হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ বিদেশ ফেরৎ সহ অন্য রাজ্য থেকে আগত সকলের উপরে নজর রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের৷ জেলায় মোট ৩৬ জন বিদেশ ফেরৎ রয়েছেন। প্রত্যেককেই হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা জানানো হয়েছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তিনি বলেন,৩৬ জন বিদেশ ফেরৎ রয়েছেন জেলায়। কারোরই ভাইরাসের উপসর্গ নেই। প্রশাসনের নজরদারিতে প্রত্যেককেই হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে রয়েছেন সাতজন। তাঁদের মধ্যেও এখনও কারোর ভাইরাসের উপসর্গ মেলেনি। জেলাবাসীকে আতঙ্ক না করার কথা জানান জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা।
সেমিনারে যোগ দিতে মিশরে গিয়েছিলেন রায়গঞ্জের এক অধ্যাপক। বিদেশ থেকে ফিরে সোজা শহরের একটি হোটেলে গিয়ে থাকা শুরু করেন ওই অধ্যাপক। অভিযোগ ওঠে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতেও দেখা যায় ওই অধ্যাপককে। এই ঘটনাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন শহরবাসী৷ এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে হোটেল কর্তৃপক্ষও ওই অধ্যাপককে আর রাখতে চাননি৷ জানা গেছে, এরপরেই স্বাস্থ্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেন ওই অধ্যাপক। এদিন ডেপুটি সিএমওএইচ তথা নোভেল করোনা ভাইরাসের জেলা নোডাল অফিসার দেবাশীষ মন্ডল জানান, অধ্যাপকের সাথে কথা বলার পর তাঁকে নিজের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রায়গঞ্জের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলের বিদেশ থেকে ফেরার খবর ছড়িয়ে পরে শহরে৷ এই ক্ষেত্রেও অভিযোগ ওঠে, কোয়ারান্টাইনে না থেকে ওই যুবককে প্রকাশ্যে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কানে খবর পৌঁছতেই শুক্রবার ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছায় স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা। বিদেশ ফেরৎ যুবকের পরিবারের সাথে কথা বলে তাঁকে কালিয়াগঞ্জে স্বাস্থ্য দপ্তরের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। দেবাশীষ মন্ডল জানিয়েছেন ওই যুবকের পরিবার নিজেদের ইচ্ছাতেই কালিয়াগঞ্জ কোয়ারান্টাইন সেন্টারে তাঁদের ছেলেকে পাঠিয়েছেন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান। জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ প্রতিটি বিষয়ের উপর স্বাস্থ্য দপ্তর গুরুত্ব সহকারে নজর রাখছে। এখনও পর্যন্ত নোভেল করোনা ভাইরাসে জেলায় কেউ আক্রান্ত হননি। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন দল প্রতিমুহূর্তে তৈরি রয়েছেন।