রায়গঞ্জ

ইটাহারে সোনার দোকানে ডাকাতি রুখল পুলিশ, ধৃত তিন দুর্ধর্ষ ডাকাত

বিহারের দুর্ধর্ষ ডাকাত দল ছক কষেছিল ইটাহারে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি লাগোয়া সোনার দোকানে অপারেশন চালানোর। ইটাহার থানার ওসি ও অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের তৎপরতা ভেস্তে দিল ডাকাত দলের পরিকল্পনা।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ দুর্ধর্ষ তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে ইটাহারে এক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা রুখে দিল পুলিশ। বুধবার রাতে ইটাহারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি সংলগ্ন দোকানে ডাকাতি করার পরিকল্পনা ছিল ওই ডাকাত দলের। তবে অপরাধ ঘটার আগেই সোর্স মারফত খবর পেয়ে তিন ডাকাতকে পুলিশ ধরে ফেলায় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন ওই ব্যবসায়ী। ইটাহার থানার পুলিশের এই সাফল্যে খুশি গোটা পুলিশ মহল। সাম্প্রতিক অতীতে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলায় এত বড় সাফল্যের খুব একটা নজির নেই বলেই মনে করছেন অনেকে।

ইটাহার থানার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে দুইজনের বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার আজমনগরে ও একজনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার কামারডাঙ্গা গ্রামে। বিহারের দুই ডাকাতের নাম বিশ্বনাথ মণ্ডল ও মিঠুন চৌধুরী। অন্যদিকে ইটাহারের বাসিন্দা যে দুষ্কৃতী তার নাম সইফুল রহমান। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি পাইপগান, ৫ টি কার্তুজ, একটি গ্যাস কাটার ও ছোট গ্যাস সিলিণ্ডার সহ কয়েকটি মোবাইল এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে বুধবারই ইটাহারের একটি মাঠ থেকে ৩৬ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছিল পুলিশ। ধৃত ডাকাতদের জেরা করে পুলিশ পরে জানতে পারে, ডাকাতির সময় ব্যবহারের জন্য ওই ডাকাত দলই বোমাগুলি মাঠের মধ্যে আগে থেকে মজুত করে রেখেছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ইটাহার থানার কামারডাঙ্গা গ্রামে ডেরা বেঁধেছিল একদল ডাকাত। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে ওসি অভিজিৎ দত্তর নেতৃত্বে তৎক্ষনাৎ অভিযান চালায় ইটাহার থানার পুলিশ। বেশ কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় তিন ডাকাত মিঠুন চৌধুরী, বিশ্বনাথ মণ্ডল ও সইফুল রহমান। থানায় এনে তাদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরার মুখে ধৃতরা পুলিশকে জানায়, থানার প্রায় নাকের ডগাতেই এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি কাম দোকানে ডাকাতি চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। বিস্তারিত তদন্তের স্বার্থে আদালতের কাছে ধৃত তিন ডাকাতকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ। ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের চিহ্নিত করে পুরো গ্যাংটিকে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে ইটাহার থানার পুলিশ।

Related News

Back to top button