
Nblive অপরাজিতা জোয়ারদারঃ ভারতবর্ষে নানা ভূতুড়ে জায়গার কথা প্রচলিত আছে যার গল্প সত্যিই হাড় হিম করা। রামোজী ফিল্ম সিটি থেকে ন্যাশনাল লাইব্রেরী – এই সব ভূতুড়ে ঘটনার যারা সম্মুখীন হননি তাদের কাছে হয়ত এটি শুধুই গল্পগুজব বা একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার হাতছানি। আর যারা এর সম্মুখীন হয়েছেন তাদের কাছে আজও আতঙ্ক। সেই আতঙ্ক যে এখনও পিছু ছাড়েনি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের এসব ভূতুড়ে জায়গার মধ্যে সবচাইতে বিখ্যাত কার্শিয়ং এর হিল স্টেশন। দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডাউ হিল। কিছুটা অন্য ধরণের গল্প ঘেরা কার্শিয়ং। এখানে ভূতুড়ে ভবন, রাস্তা, রহস্যময় বনাঞ্চল এবং ভয়ানক লাল চোখ, মুন্ডহীন কিশোর ভূত এবং রহস্য মৃত্যুর একাধিক গল্প ছড়িয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গের একটি পাহাড়ি এলাকা কার্শিয়াং। প্রকৃতির মোহময়ী রূপ, বনাঞ্চল ঘেরা পাহাড়, সবুজ গালিচায় মোড়া চা বাগান সবই রয়েছে এখানে। ‘অর্কিড ভূমি’ নামে খ্যাত কার্শিয়াং-এর একটি অন্ধকার দিক রয়েছে! ভারতবর্ষের সবচেয়ে রহস্যঘন স্থানগুলির মধ্যে একটি কার্শিয়াং-এর ডাউ হিল। আস্বাভাবিক নানা রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী কিছু জায়গা সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক। কার্শিয়াং-এর ডাউ হিলের সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণের উৎস।
ডাউ হিল রোড ও ফরেষ্ট অফিসের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে ছোট্ট একটি রাস্তা যা মৃত্যু সরণি বলে পরিচিত। এই বনাঞ্চলের কাঠুরেরা মাঝে মধ্যেই শুনতে পান তরুণ ছেলে মেয়েদের চিৎকার। কখনো মুণ্ডহীন বাচ্চা ছেলেদের পায়ের শব্দে গা ছমছম, কখনো বা হঠাৎ পাশ দিয়ে চলে গিয়েই বনে তাদের মিলিয়ে যাওয়া… এক অজানা ভয়ের সঞ্চার করে বৈকি। হঠাৎই মনে হয় কেউ যেন অনুসরণ করে চলেছে। কিন্তু অদৃশ্য এই অশরীর দেখা আজও মেলেনি। কথিত আছে এই বনাঞ্চল দিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকজন লোক পাগল হয়ে গেছে। এমনকি কেউ কেউ আত্মহত্যাও করেছে। শুধু তাই নয় ধুসর বসন পরিহিতা এক প্রেতাত্মার গল্পও লোকের মুখে মুখে ফেরে এখানে। ১০০ বছরের পুরনো ভিক্টোরিয়া বয়েজ স্কুলে ডিসেম্বর থেকে মার্চে নানা ধরনের প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। কারোর ফিসফিস করে কথা বলা এবং হেঁটে চলে যাওয়ার শব্দ পরিষ্কার শোনা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি সন্ধ্যা হলেই এই এলাকায় যাতায়াত করেন না কেউ। যদিও দিনের বেলাও গা ছমছমে পরিবেশ এতটুকুও কমে না এখানে। তাই প্রকৃতির মোহময় দৃশ্য উপভোগ করতে কখনও যদি আপনি ডাউ হিল পৌঁছে যান তবে অক্ষত ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা নিশ্চই জানাবেন আমাদের।