Archive

মরশুমের শুরুতেই ভরে উঠেছে কুলিক পক্ষীনিবাস

ওয়েব ডেস্কঃ ফের পরিযায়ীদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এশিয়ার প্রথম বৃহত্তম পক্ষীনিবাস কুলিক পাখিরালয়ে। বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে তাদের আনাগোনা। ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার হাজার পরিযায়ী অতিথির আগমন ঘটেছে কুলিকে।  ওপেন বিল স্টর্ক, নাইট হেরণ, ইগ্রেট সহ বাংলার নানা ধরনের পাখির আবাসস্থল এই কুলিক। জুনের মাঝ থেকে শুরু হয় এদের আগমন।  কুলিকের কুলে জাম, জারুল, অর্জুন গাছের শাখায় শাখায় বাসা বাঁধে ওরা। এরপর সঙ্গিনীদের সাথে প্রজনন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়ে ডিম প্রসব থেকে ছানা বড় করার প্রক্রিয়া চলে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত।  অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর সন্তানদের নিয়ে এদের ভরা সংসার। এরপর নতুন প্রজন্ম ডানা মেলে উড়তে শিখলেই ধীরে ধীরে তারা পাড়ি দেয় অন্যকোন দেশের উদ্দ্যেশ্যে। এইভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর। IMG_8651-1

পরিযায়ী দের আনাগোনা দেখে বন দফতর  কুলিক নদীর পারে দেড় বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুরে ১৯৮৫ সালে গড়ে তুলেছিলেন সামাজিক বন সৃজন প্রকল্পের মাধ্যেমে কুলিক পক্ষীনিবাস।  ধীরে ধীরে পাখিদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখিরালয়ে  হয়ে উঠেছিল এই পক্ষীনিবাস।  এরপর দিল্লীর বাসিন্দা বিশিষ্ট পরিবেশবিদ তরুন রায় বিগত চার বছরের পরিসংখ্যান ধরে এশিয়া মহাদেশ জুরে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন ওপেন বিল স্টর্কের প্রজনন এলাকার ওপরে। এরপরই এশিয়ার প্রথম বৃহত্তম পাখিরালয়ের শিরোপা মেলে রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাসের। প্রতি বছরের মতন এই বছরও কয়েক হাজার পাখির সমাগম হতে চলেছে। বেশ কয়েক হাজার পাখি ইতিমধ্যেই চলে এসেছে কুলিকে। বর্ষাকাল সময়মত চলে আসায় পাখিদের সংখ্যাও এই বছর বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিক দ্বিপর্ণ দত্ত।

Back to top button