ইসলামপুর

লকডাউনে স্কুলের বেঞ্চ ভেঙেছিল পরিযায়ী শ্রমিকরা, ক্ষতিপূরণের টাকা মেটাচ্ছে পড়ুয়ারা

স্কুলের কোয়ারান্টিন ক্যাম্পে পরিযায়ী শ্রমিকরা থাকাকালীন ভেঙে গিয়েছে প্রায় সবকটি বেঞ্চ। নতুন করে বেঞ্চ তৈরির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷

 

Bengal Live ইসলামপুরঃ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে বর্ধিত ফি নেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ইসলামপুরে। ১৮০ টাকার বদলে ৫০০ টাকা ফি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্কুলের অভিভাবকদের। সরকার নির্ধারিত বেতনই নিতে হবে, এমন দাবি জানিয়ে বর্ধিত বেতন ফেরৎ দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সোমবার ইসলামপুর হাইস্কুলে এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। পরিযায়ী শ্রমিকরা ভেঙে দিয়ে গেছে স্কুলের বেঞ্চ। তাই বেঞ্চ তৈরির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের।

ইসলামপুরের এসএফআই নেতা শুভদীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য সরকার নির্ধারিত ১৬৫ টাকার বদলে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। মহামারির সময়ে অভিভাবকরা অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এরমধ্যে ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নেওয়ার প্রতিবাদে আজ আমরা ইসলামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।

অভিভাবক সুভাষ চক্রবর্তী বলেন, ছাত্রদের এই আন্দোলন ন্যায্য। অন্যান্য স্কুলে ১৮০ টাকা করে নেওয়া হলেও ইসলামপুর হাইস্কুলে ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক অভাবের মধ্যে এই বর্ধিত টাকা নেওয়া ন্যায়সংগত নয়৷ সরকার নির্ধারিত বেতন নিলে অভিভাবকরা উপকৃত হবেন।

এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সলিমুদ্দিন আহমেদ বলেন, সেন্টার ফি ১৮০ টাকাই নেওয়া হচ্ছে। তবে বাকি টাকা নেওয়া হচ্ছে স্কুলের বেঞ্চ তৈরির জন্য। করোনার সময় স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকরা ছিল। সেই সময় স্কুলের ৩২টা ঘরের প্রায় সবকটি বেঞ্চ ভেঙে যায়৷ সেইজন্য আমরা আলোচনা করে ঠিক করি, বেঞ্চের জন্য ৩২০ টাকা করে নেওয়া হবে। ছাত্রদের সাথে কথা হয়েছে এদিন। কোনও অভিভাবক অথবা পড়ুয়া যদি এসে বলে বর্ধিত ফিজ দেওয়া সম্ভব নয়, তাহলে ছাড় দেওয়া হবে।

Related News

Back to top button