ইসলামপুর

মাথায় ফেট্টি না বেঁধেও পুরনো মেজাজে করিম চৌধুরী, মৃতদেহ আগলে ধর্না দিলেন রাত পর্যন্ত

চা বাগানের জমি দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ মহিলার দেহ আগলে চা বাগানে বসেই রাত ৮ পর্যন্ত ধর্না আন্দোলন চালালেন তৃণমূলের প্রবীণ বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী।

Bengal Live ইসলামপুরঃ সাধারণ চাষীদের জমি বাঁচাতে মাথায় ফেট্টি বেঁধে বিধায়ক করিম চৌধুরীর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আন্দোলন দেখেছিলেন ইসলামপুরবাসী। তাঁর ওই আন্দোলন সাড়া ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। প্রায় দুই দশক পর বৃহস্পতিবার ফের সেই পুরনো মেজাজে দেখা গেল ইসলামপুরের “পাহাড়াদার” আব্দুল করিম চৌধুরীকে। চা বাগানের জমি দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ মহিলার দেহ আগলে চা বাগানে বসেই রাত ৮ পর্যন্ত ধর্না আন্দোলন চালালেন তৃণমূলের প্রবীণ বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী।

বিরোধী দলের বিধায়ক হিসেবে করিম প্রতিজ্ঞার ফেট্টি বেঁধেছিলেন তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে জমি রক্ষার আন্দোলনে নেমে। আর বৃহস্পতিবার, মাথায় ফেট্টি না বাঁধলেও, মৃতদেহ নিয়ে ধর্নায় বসলেন তাঁরই দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে। সময়কাল ও নিশানা আলাদা হলেও প্রেক্ষাপট সেই জমি।

ইসলামপুরের পাটাগোড়া এলাকায় নয়াবস্তি গ্রামে বন্ধ চা বাগানের জমি দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রসিদা খাতুন নামে এক মহিলার। এর পরেই জমি দখল নিয়ে দুষ্কৃতীরাজ ঠেকাতে ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এদিন বিকেল থেকে নয়াবস্তির চা বাগানে গিয়েই দলবল নিয়ে মৃতদেহ আগলে রেখে ধর্না আন্দোলনে বসে পড়েন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, জাকির হোসেন তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। সন্ত্রাস তৈরি করে বন্ধ চা বাগানে সাধারণ মানুষের জমি দখল করে নিচ্ছেন জাকির। পুলিশকে বারবার বলেও জাকিরের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা যাচ্ছে না। ব্লক তৃণমূল সভাপতি জাকির হোসেন অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, নয়াবস্তির ঘটনায় তাঁর বা তাঁর দলের কারও কোনও যোগ নেই।

স্থানীয় পুলিশের অনুরোধও করিম চৌধুরীকে এদিন আন্দোলন থেকে টলাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের আইজির আশ্বাসে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের প্রতিশ্রুতিতে রাত ৮ টা নাগাদ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যেতে দেন পুলিশকে। করিম সাহেব বলেন, “আইজির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আগামীকাল আইজি নিজে পরিস্থিতি সরেজমিন খতিয়ে দেখতে ইসলামপুরে আসবেন বলে জানিয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও আমাকে এই বার্তা দিলেন। আমি চাই ইসলামপুরে সন্ত্রাস, গোলাগুলি বন্ধ হোক। চা বাগানে যারা জমির প্রকৃত মালিক তারাই জমির অধিকার পাক।”

Related News

Back to top button