রায়গঞ্জ

১৪ মাসের শিশুর রক্তে ৭০০ সুগার, সন্তানকে বাঁচাতে রায়গঞ্জে হাত পাতছেন মা-বাবা

হাই সুগারে আক্রান্ত ১৪ মাসের শিশু। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু আর্থিক ভাবে দুর্বল কাঠমিস্ত্রী বাবার পক্ষে সেই টাকা জোগার করা দুঃসাধ্য। সাহায্যের কাতর আবেদন শহরবাসীর কাছে।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ ১৪ মাস বয়সেই হাই সুগারে আক্রান্ত এক শিশু। প্রতিদিন তিনবার করে দিতে হচ্ছে ইনসুলিন। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হাত তুলে দিয়েছেন সকলেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালোর নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু পেশায় কাঠমিস্ত্রী বাবার পক্ষে বিপুল পরিমাণ অর্থ জোগার করা দুঃসাধ্য বিষয়৷ তাই সাহায্যের জন্য শহরবাসীর কাছে কাতর আর্জি তাঁর।

রায়গঞ্জের পশ্চিম মিলনপাড়ার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর কাঠমিস্ত্রি মানিক ভৌমিক জানান, গত ২১ ডিসেম্বর খেলতে গিয়ে আচমকাই চেতনা হারায় তাঁর ১৪ মাসের শিশু মনীশ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৎক্ষনাৎ মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে প্রায় ২০দিন আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসক জানান, মনীশ হাই সুগারে আক্রান্ত। তার সুগারের পরিমাত্রা ৭০০ ছুঁয়েছে। রোজ তিনবার করে ইনসুলিন দিতে হবে তাকে।

মানিক বাবুর দাবি, চিকিৎসক জানিয়েছেন সাতদিনের মধ্যেই মনীশকে ব্যাঙ্গালোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে নিয়ে যেতে। এখানে এই চিকিৎসা সম্ভব নয়।

মানিক বাবুর স্ত্রী শ্রীমতি ভৌমিক বলেন, মা হয়ে ১৪ মাসের শিশুর পেটে দিনে তিন বার ছুঁচ ফুটিয়ে ইনসুলিন দেওয়া আমার পক্ষে বেদনার। কিন্তু সন্তানকে বাঁচাতে বুকে পাথর চাপা দিয়েই এই কাজ করতে হচ্ছে রোজ। সাতদিনের মধ্যে ব্যাঙ্গালোরে চিকিৎসার জন্য মনীশকে নিয়ে যেতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

ভৌমিক দম্পতি জানান, রোজকার খাওয়ার জোগার করতেই হিমশিম অবস্থা তাঁদের। সেখানে চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা জোগার করা তাঁদের পক্ষে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। শহরবাসীর কাছে আর্থিক সাহায্যের কাতর আর্জি জানিয়েছেন দম্পতি। শহরের সহৃদয় বাসিন্দারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে না আসলে ওই শিশুকে সুস্থ করে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন মানিক ভৌমিক।

যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্য করতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে Manik Bhaumik – 7478681492

Related News

Back to top button