বিজেপির জেলা নেতাকে ফোনে হুমকি মন্ত্রী দেবশ্রীর, উপনির্বাচনে হারের জের

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃত্বকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর৷
Bengal Live রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জের সাংসদ তথা মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি৷ কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে হারের দায় নিয়ে চাপানউতোর শুরু মন্ত্রী ও প্রাক্তন জেলা সভাপতির মধ্যে। ঘটনাকে ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এসেছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।
শঙ্কর চক্রবর্তীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী তাঁকে ফোন করে হুমকি দিয়েছেন। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে পরাজয়ের দায় তাঁর উপর চাপিয়েছেন মন্ত্রী। শঙ্কর বাবু বলেন, “মন্ত্রী আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলেছেন, মিডিয়াকে কিনে আমি নাকি কালিয়াগঞ্জে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করেছি। বিজেপি প্রার্থীকে হারানোর জন্য আমিই নাকি দায়ী৷ কিন্তু আমি কালিয়াগঞ্জে উপনির্বাচনের কোনও দায়িত্বেই ছিলাম না। মন্ত্রীর এই অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। কিন্তু ম্নত্রীর হুমকির জন্য আমি আতঙ্কে আছি।”
শঙ্কর বাবুর দাবি, মন্ত্রীর হুমকি ফোনের অডিও রেকর্ডিং তাঁর কাছে রয়েছে৷ রাজ্য নেতৃত্বকেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের দায় পালটা মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর উপর চাপিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। শঙ্করবাবু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর মন্ত্রী হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু কোনও কাজ করেননি। কিছু ঠিকাদার দলীয় কর্মীকে নিয়ে দলের জেলা সংগঠনের রাশ নিজের হাতে রাখতে চাইছেন তিনি। রাধিকাপুর-কলকাতা দিনের ট্রেনের দাবি এখনও তিনি বাস্তবায়িত করতে পারেননি। মন্ত্রীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও লাক্সারি লাইফ স্টাইলের জন্যই কালিয়াগঞ্জে পরাজিত হতে হয়েছে বিজেপিকে।”
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে হারের পর দলীয় নেতৃত্বের কাছে নিজের ইমেজ ভালো রাখতে এবং জেলা সভাপতি নির্বাচনে তাঁকে আগে থেকেই সাইড করে দিতে মন্ত্রী এই চক্রান্ত শুরু করেছেন বলেও এদিন অভিযোগ করেন শঙ্করবাবু।
শঙ্কর বাবুর এই অভিযোগের পর বহুবার ফোন করেও মন্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।