রায়গঞ্জ স্টেশনে ভাঙাফুটো শেডের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে নাকাল রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা

একে গোটা প্ল্যাটফর্মে শেড নেই। তার ওপর যেটুকু অংশে শেড রয়েছে, সেটিও ভাঙাফুটো। পরিনামে সেই বেহাল শেডের নিচে দাঁড়িয়েই অসহায় ভাবে অঝোর বৃষ্টিতে ভিজে নাকাল হতে হল শতাধিক রেলযাত্রীকে।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে রেলের চূড়ান্ত উদাসীনতার সাক্ষী হলেন রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। মঙ্গলবার রায়গঞ্জ রেল স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ঘটনা। একে গোটা প্ল্যাটফর্মে শেড নেই। তার ওপর যেটুকু অংশে শেড রয়েছে, সেটিও ভাঙাফুটো। পরিনামে সেই বেহাল শেডের নিচে দাঁড়িয়েই অসহায় ভাবে অঝোর বৃষ্টিতে ভিজে নাকাল হতে হল শতাধিক রেলযাত্রীকে। অগত্যায় ভেজা পোশাকেই ট্রেনে উঠে কলকাতা অভিমুখে রওনা হলেন যাত্রীদের একটা বড় অংশ। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ রেলযাত্রী মহল।
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয় রায়গঞ্জে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কোনক্রমে স্টেশনের প্লাটফর্মে এসে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেন শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কলকাতাগামী রেলযাত্রীরা। কিন্তু প্লাটফর্মে এসেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেডের নিচে আশ্রয় নিতে গিয়ে যাত্রীরা লক্ষ্য করেন, ভাঙাফুটো বেহাল শেড গলে অবিরাম জলধারা ঝরে পড়ছে প্লাটফর্ম জুড়ে। অগত্যা বৃষ্টির জলে ভিজেই নিরুপায় অপেক্ষা ট্রেনের। প্লাটফর্মে রাধিকাপুর-কলকাতা এক্সপ্রেস ঢোকা মাত্র ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয় যাত্রীদের। ভেজা কাপড়েই কোনক্রমে ট্রেনে ওঠার পরেই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মেলে তাঁদের।
রায়গঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন কনসালটেটিভ কমিটির সদস্য রূপক ঘোষ বলেন, ডিসেম্বর মাসের বৈঠকেই দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে শেড তৈরির বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। শীঘ্রই সেই কাজও শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল আমাদের৷ তবে বৃষ্টির কারণে আজ যেই সমস্যার মুখে যাত্রীদের পড়তে হয়েছে তা বুধবার ডিআরএমের নজরে আনা হবে।