রায়গঞ্জ

রায়গঞ্জে সরকারি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মৃত্যু

কোভিড-১৯ মোকাবিলার কাজে যুক্ত সরকারি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মৃত্যু রায়গঞ্জে। পুরো বিষয়টি নিয়ে গাফলতির অভিযোগ মৃতের পরিবারের।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ কোভিড-১৯ মোকাবিলার কাজে যুক্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মৃত্যু রায়গঞ্জে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনে। অসুস্থ বোধ করার পরেও জোড় করে ওই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে আটকে রাখার অভিযোগ। বিনা চিকিৎসায় দীর্ঘক্ষণ ওই চিকিৎসককে ফেলে রাখার অভিযোগও করেছে মৃতের পরিবার। পরে পরিবারের তৎপরতায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নিলয় পাট্টাদারকে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হলেও শেষপর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ পেলে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

জানা গেছে, কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নিলয় পাট্টাদার ইটাহারে পঞ্চায়েত স্তরে কর্মরত ছিলেন। কোভিড ১৯ -এর জেরে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অধীনে কাজ শুরু করেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার কর্মস্থলে থাকাকালীন হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলেও নিলয় বাবুকে আটকে রাখা হয়। কার্যত বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় তাঁকে। এরপর নিলয় বাবুর পরিজনেরা বিষয়টি জানতে পেরে নিজেদের উদ্যোগে তাঁকে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।

নার্সিংহোমের চিকিৎসক শান্তনু দাস বলেন, প্রথম ইসিজি রিপোর্টে হার্ট আটাকের কোনও কিছু আমরা পায়নি। এরই মাঝে রোগীর পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। আমরা ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করি। দ্বিতীয় বার ইসিজি করার পর ধরা পরে ম্যাসিভ একটি হার্ট অ্যটাক হয়েছে। সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

মৃতের দাদা মানস পাট্টাদার বলেন, অসুস্থ হওয়ার পর প্রায় দুই ঘন্টা বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় নিলয়কে। এরপর আমরা পৌঁছে রায়গঞ্জের বেসরকারি নার্সিংহোমে আনার ব্যবস্থা করি। কোভিড ১৯ এর চিকিৎসার কাজে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কী করতে পারেন? প্রশ্ন তোলেন মানস বাবু। পুরো বিষয়টি নিয়ে গাফলতির অভিযোগ তুলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য সরকারি জায়গায় অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ পেলে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান।

Related News

Back to top button