রায়গঞ্জ

লকডাউনের জের, রায়গঞ্জে সংসার চালাতে ফটোগ্রাফার হলেন ফল বিক্রেতা

৪২ বছর ধরে ফটোগ্রাফি পেশার সাথে যুক্ত রায়গঞ্জের উদয়পুরের বাসিন্দা বিকাশ সরকার। এরমধ্যে প্রায় ২৫ বছর ফ্রিলান্স চিত্র সাংবাদিকতার কাজও করেছেন তিনি। অবশেষে সংসার চালাতে ফটোগ্রাফার হলেন ফল বিক্রেতা

Bengal Live রায়গঞ্জঃ লকডাউনের জেরে তিনি ফটোগ্রাফার থেকে আজ ফল বিক্রেতা। চার দশকের বেশি সময় ধরে ফটোগ্রাফি পেশার সাথে যুক্ত থাকার পর অবশেষে ক্যামেরা ছেড়ে দাঁড়িপাল্লা হাতে ফুটপাতে ফল বিক্রি করতে বসলেন রায়গঞ্জের অন্যতম চিত্রগ্রাহক।

লকডাউনের জেরে বন্ধ স্টুডিওর সাটার। অফিস-কাছারি বন্ধ থাকায় পাসপোর্ট ছবির প্রয়োজনও ফুরিয়েছে শহরবাসীর৷ ফলে উপায় না পেয়ে অবশেষে পেশা বদলেই আয়ের রাস্তা খুঁজছেন চিত্র গ্রাহক বিকাশ সরকার।

আরও পড়ুনঃ কুলিকে ভেসে উঠল মৃতদেহ, রহস্য ঘিরে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে

৪২ বছর ধরে ফটোগ্রাফি পেশার সাথে যুক্ত রায়গঞ্জের উদয়পুরের বাসিন্দা বিকাশ সরকার। এরমধ্যে প্রায় ২৫ বছর ফ্রিলান্স চিত্র সাংবাদিকতার কাজও করেছেন তিনি। ইন্দিরা গান্ধী থেকে অটল বিহারী বাজপেয়ী, জ্যোতি বসু থেকে লালকৃষ্ণ আদবানি, সামনে দাঁড়িয়ে বহু দেশ বরেণ্য নেতা-নেত্রীর ছবি তুলেছেন তিনি৷ উন্নত প্রযুক্তির দিনেও চালিয়ে গিয়েছেন স্টুডিও। তবে শেষ রক্ষা হল না। লকডাউনের জেরে প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে স্টুডিও বন্ধ থাকায় অবশেষে সংসার চালানোর জন্য পেশা পালটাতে বাধ্য হলেন। শহরের মোহনবাটি এলাকায় নিজের স্টুডিওর সামনেই এখন ফলের পসরা সাজিয়ে বসছেন তিনি৷

আরও পড়ুনঃ দক্ষিণবঙ্গের অন্ধকার ঘোচাতে বিদ্যুৎ কর্মীর দল গেল রায়গঞ্জ থেকে

বিকাশ সরকার জানান, জমানো টাকা খরচ করে লকডাউনের প্রথম একমাস সাত জনের সংসারের অন্ন জোগার করতে পারলেও পরবর্তীতে কঠিন সমস্যার মুখে পড়তে হয়৷ উপার্জনের একমাত্র পথ স্টুডিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কঠিন আর্থিক অভাব দেখা দেয় সংসারে। শুভাকাঙ্ক্ষীদের উৎসাহ পেয়ে অবশেষে বন্ধ স্টুডিওর সামনেই ফলের দোকান খুলে উপার্জনের রাস্তা খুঁজছেন তিনি। কোনওদিন ২০০, কোনওদিন ৩০০ টাকা উপার্জন করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও আর্থিক অনটন থেকে মুক্তি এখনও মেলেনি৷ প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Related News

Back to top button