সরকারি আধিকারিককে নিগ্রহের অভিযোগ রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে

কৃষক বন্ধু চেক বিলি নিয়ে গোলমাল। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সরকারি আধিকারিককে মারধরের।
Bengal Live রায়গঞ্জঃ কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিককে শারীরিক নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক ও সরকারি কর্মচারী মহলে। নিগৃহীত আধিকারিক সন্দীপন সেনগুপ্ত রায়গঞ্জ ব্লক কৃষি দপ্তরে অ্যাসিস্ট্যান্ট টেকনোলজি ম্যানেজার। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সন্দীপন সেনগুপ্তর অভিযোগ, নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র ছাড়াই এক ব্যক্তি কৃষক বন্ধু চেক নিতে এসেছিলেন। তাঁকে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র আনতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মানস ঘোষ ওই ব্যক্তিকে নিয়ে এসে বলেন, তাঁকে চেক দিয়ে দিতে। সেই সময় সরকারি নিয়মের কথা বলা হলে মানসবাবু আচমকা আমার উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। আমি বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানস ঘোষ। তিনি বলেন, “ভোটার কার্ডের জেরক্স দেখিয়ে একজন কৃষক কৃষক বন্ধুর চেক নিতে এসেছিলেন। কিন্তু ওই কৃষককে চেক না দিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ওই কৃষককে তাঁর অঞ্চলের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ, এমনকি আমি নিজে পরিচিত করিয়ে দিলেও ওই আধিকারিক তাঁকে চেক দেননি। উল্টে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেও তিনি চেক দেবেন না। এতে উপস্থিত কৃষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ওই আধিকারিককে হামলার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য টেনে অন্য ঘরে নিয়ে যাই।”