ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে

ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জের টেনিহরি গ্রামে। গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

Bengal Live রায়গঞ্জঃ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের বিরুদ্ধে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য রায়গঞ্জের টেনিহরি গ্রামে। গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, বছর পাঁচেক আগে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে মরণচন্দ্র দাস দিল্লি থেকে টেনহরি গ্রামে ফেরেন। মরণচন্দ্র দাসের স্ত্রী মালতী দাসের দাবি, দিল্লিতে থাকার সময় থেকেই ছেলের চিকিৎসা চলছিল। এদিন সকালে ছেলেকে দোকান থেলে ডাল কিনে আনতে বললে আচমকাই ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাবার উপরে চড়াও হয় ছেলে নীলকান্ত। ছেলেকে আটকাতে গেলে মালতী দেবীর হাতেও কোপ বসায় ছেলে।

ঘটনার খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে মরণচন্দ্র দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এরপরেই নীলকান্তকে আটক করে প্রতিবেশীরা পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেন তাঁরা।
প্রতিবেশী প্রসেনজিৎ দাস বলেন, বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ খবর পেয়ে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি মরণচন্দ্র দাস রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছেলেকে আমরা পাশের একটি মাঠ থেকে ধরে আনি। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ওরা অভিযুক্তকে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।