রায়গঞ্জ

রায়গঞ্জে বনধের সমর্থনে একসাথে পথে নামলো না বাম-কংগ্রেস, ভোটের মুখে জোটে জল ?

বিধানসভা নির্বাচনে জোট করেছে বাম-কংগ্রেস। আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই রাজনৈতিক দল। এখনও পর্যন্ত ২৩০ আসনে সমঝোতা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ ছাত্র যুবদের উপর পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে বামেদের ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে রাজ্য জুড়ে বাম-কংগ্রেসকে একত্রিত হয়ে পথে নামতে দেখা গেলেও উলটো চিত্র রায়গঞ্জে। শুক্রবার রায়গঞ্জে কোনও কংগ্রেস নেতৃত্বকেই পাশে পেল না বামেরা। বনধের সমর্থনে শহরজুড়ে মিছিল করতে দেখা গেল শুধু বাম নেতৃত্বকেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন চিত্র ধরা পড়তেই বাম-কংগ্রেস জোটের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র যুব সংগঠন। সেখানেই ব্যাপক লাঠিচার্জ করা হয় আন্দোলনকারীদের৷ গ্রেপ্তার করা হয় বিধায়ক ইব্রাহিম আলি সহ অনেককে। এরপরেই বিকেলে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম রাজ্যজুড়ে ১২ ঘন্টা বনধের ঘোষণা করেন। বনধকে সমর্থন জানায় জোটসঙ্গী কংগ্রেসও।

রায়গঞ্জে ট্রেন অবরোধ করল বনধ সমর্থকরা, রেললাইনে লাল ঝাণ্ডা পুঁতে বিক্ষোভ

শুক্রবার সকাল থেকেই কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্রই বাম-কংগ্রেসকে একত্রিত হয়ে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। তবে রায়গঞ্জে এদিন দেখা মেলেনি কোনও কংগ্রেস নেতৃত্বর। বামফ্রন্টের উত্তর দিনাজপুর জেলা আহ্বায়ক অপূর্ব পাল, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখার্জী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব এদিন দফায় দফায় পথ অবরোধ, রেল অবরোধ আন্দোলন সংগঠিত করলেও রাস্তায় দেখা মেলেনি উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের কাউকে।

এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপি(আই)এম-এর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, আমরা ভেবেছিলাম কংগ্রেস থাকবে। থাকলে ভালো হতো। আমরা যে ঐক্যবদ্ধ, জোট করেছি, সেটাতো মানুষের সামনে নিয়ে যেতে হবে। আজকের বনধে আমরা যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথে নামতাম মানুষ সেটা চাক্ষুষ করতে পারতো। কোনও কারণে হয়ত ওরা পারেনি। তবে আগামীতে ঐক্যবদ্ধ ভাবেই আমরা আন্দোলন করবো।

রাজ্য সভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীর

এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দ বলেন, রাতে নির্দেশ পাই। খুব কম সময়ে আমরা গুছিয়ে নিতে পারিনি। তবে আমরা নিজেদের মতন করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বনধের সমর্থনে কাজ করেছি। সিপিএম যেহেতু বনধ ডেকেছে তাই আমরা ওদের ঝান্ডা নিয়েই কাজ করেছি। পবিত্র চন্দের দাবি, রায়গঞ্জে ঝান্ডা নিয়ে না বের হলেও কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা, ইসলামপুরে একত্রিত হয়েই মিছিল করেছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Related News

Back to top button