রায়গঞ্জ

গুলি ও ছিনতাইয়ের মিথ্যা গল্প বলে ক্ষমা প্রার্থনা

চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই বয়ান বদল “গুলিবিদ্ধ” যুবকের। কোনও গুলি চলেনি, ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেনি। অভিযোগের পুরোটাই ছিল মিথ্যা ও বানানো গল্প। কিন্তু কেন ? পুলিশি জেরায় পর্দা ফাঁস।

 

Bengal Live রায়গঞ্জঃ পুরোটাই ছিল মিথ্যা ও বানানো গল্প। বাস্তবে কোনও গুলিই চলেনি। এমনকি ছিনতাইয়ের গল্পও বানানো। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই বয়ান পাল্টে নতুন বয়ান অভিযোগকারী যুবকের। পুলিশি জেরার প্যাঁচে পড়ে আর মিথ্যার জাল বোনা সম্ভব হল না। সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি পুলিশের কাছেও প্রথমে মিথ্যা গল্প ফেঁদেছিলেন রায়গঞ্জের পশ্চিম বীরনগর এলাকার বাসিন্দা নুর আলম। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

সোমবার রাতে ঘটনার পর আহত অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে শুয়ে নুর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রাত ১০ টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে বাহিনের হাটমনি এলাকায় ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি। তিনটি মোটরবাইকে ৬ জন দুষ্কৃতী এসে তাঁর পথ আটকায় এবং টাকা, মোবাইল সহ বাইকটিও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই দুষ্কৃতীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। একটি গুলি নাকি তাঁর পায়ে লাগে। তাঁর চিৎকারে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার বয়ান পাল্টে পুলিশের কাছে নুর আলম জানান, সোমবার তিনি যা বলেছিলেন, তা ছিল মিথ্যা ও বানানো। সোমবার রাতে যা ঘটেছিল, তার পুরোটাই তিনি নিজেই ঘটিয়েছিলেন। এদিন নুর বলেন, “আমার কাছে অনেক লোকজন টাকা পাবে। সোমবার আমার এক মামাকে বলেছিলাম আমাকে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দিতে। তারপর রাস্তায় একটা লোহার সরু রড নিজেই পায়ের মধ্যে ঢুকিয়ে ক্ষত তৈরি করেছিলাম। কেউ আমাকে গুলি করেনি। পরে সাংবাদিকদের কাছে ছিনতাই ও পায়ে গুলি লাগার মিথ্যা গল্প বলি। লোকজন যাতে আমাকে টাকার জন্য চাপ না দিতে পারে তার জন্যই এই নাটক করেছিলাম। আমার এই ভুলের জন্য সমস্ত পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইছি।”

Related News

Back to top button